মিরপুরের উইকেট নিয়ে এবার সমালোচনায় মুখর হলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি। বাংলাদেশের ক্রিকেট কর্তাদের প্রতি দেখালেন তীব্র ক্ষোভ। বললেন, বাংলাদেশ দলে প্রতিভার অভাব নেই, তবে এমন উইকেটে খেলে ক্রিকেট জাতি হিসেবে খুব বেশি দূর যাওয়া সম্ভব নয়।
দেড় মাসের ব্যবধানে মুদ্রার দুই পিঠই দেখতে হলো বাংলাদেশকে। হাতের তালুর মতো পরিচিত মিরপুর স্টেডিয়ামও যেন অচেনা হয়ে গেল। যে মাঠে টাইগাররা অপ্রতিরোধ্য, সেখানেই হোয়াইটওয়াশ হতে হলো টাইগারদের। বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডকে যেখানে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছিল তারা, সেখানে পাকিস্তানের কাছে হারতে হলো সবকটি ম্যাচ।
বিশ্বকাপে টাইগারদের ভরাডুবির পেছনে মিরপুরের নিচু-মন্থর উইকেটকেই দুষছেন সবাই। অস্ট্রেলিয়ার ওয়ার্নার-জাম্পা তো মিরপুরের ২২ গজকে জঘন্য বলে অভিহিত করেছেন। এবার সেই পিচের সমালোচনায় যোগ দিলেন শহীদ আফ্রিদি। মিরপুরে ‘শক্তিশালী’ বাংলাদেশকে ধবলধোলাইয়ের পর পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক টুইটারে উত্তরসূরিদের অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি পিচ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে আফ্রিদি লিখেছেন, বাংলাদেশের এবার একটু গভীরভাবে আত্ম অনুসন্ধান করা উচিত। তারা কি এমন উইকেটে জয় আর বিশ্বকাপে গড়পড়তা পারফরম্যান্স করেই সন্তুষ্ট থাকতে চায়? তাদের দলে অনেক প্রতিভা। খেলার প্রতি আবেগ-ভালোবাসারও অভাব নেই। কিন্তু উন্নতি করতে চাইলে ওদের সত্যিকার অর্থেই ভালো উইকেট বানানো দরকার।
বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর মিরপুরে স্পোর্টিং উইকেটের আশ্বাস দিয়েছিল বিসিবি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো পাকিস্তান বধের নেশায় সেই নিচু-মন্থর উইকেটই বানিয়ে রেখেছে গ্রাউন্ডস কমিটি। এবার সেই ফাঁদে আটকা পড়লো নিজেরাই।
অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বলেছিলেন, অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সিরিজের চেয়ে এই সিরিজে উইকেট ভালো আচরণ করেছে। কিন্তু কতটুকু ভালো? বাংলাদেশ এই সিরিজে ওভারপ্রতি ৫.৯৮ রান তুলেছে। পাওয়ার প্লেতে এখনও দিশেহারা ব্যাটাররা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সাথে এই উইকেট, এ ধরনের ব্যাটিং আর এই রানরেট সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে আফ্রিদি আজ প্রশ্নটা রেখেই ফেললেন।
Leave a reply