খেলা ও সেলিব্রেশন একে অপরের অপরিহার্য অঙ্গ। দুটি চলে হাত ধরাধরি করে। ক্রিকেটেও এটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। নানা সময়ে বিচিত্র সব সেলিব্রেশনে সমর্থকদের মাত করেন ক্রিকেটাররা।
ইতিমধ্যে কয়েকটি সেলিব্রেশন দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। স্পিরিট ও ক্রিকেটীয় চেতনার কারণে সেসব বিচিত্র অঙ্গভঙ্গি ইতিহাসের পাতায় অমর-অক্ষয় হয়ে থাকবে চিরকাল।
আমাদের আজকের আয়োজন তা নিয়েই-
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল: সদ্য সমাপ্ত নিদাহাস ট্রফিতে সেলিব্রেশনের উপলক্ষ পেলেই ‘নাগিন ড্যান্স’ দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। যা ক্রিকেট মঞ্চ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে স্থান করে নিয়েছে। যেটি এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যতম চর্চার বিষয়।
বিরাট কোহলি: ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে বাংলাদেশ-ভারতের লড়াইয়ের কথা মনে আছে? যে ম্যাচে কেদার যাদবের বলে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ লুফে জিভ বের করে সেলিব্রেট করেন কোহলি। সোশ্যাল মিডিয়া মারফত তা ভাইরাল হয়ে যায়। ভারতীয় রেকর্ড মাস্টারের অঙ্গভঙ্গিটিও আলোচনার জোয়ার তোলে।
শেল্ডন ক্যাট্রেল: আউট করার পর স্যালুট করে ব্যাটসম্যানকে বিদায় জানান তিনি। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) তা নিয়মিত দেখা যায়। এ ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানের সেলিব্রেশনটি ক্রিকেটামোদিদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
ডোয়াইন ব্রাভো: কোনো ব্যাটসম্যানকে আউট করার পর হিপহপ নাচের ভঙ্গিতে সেলিব্রেট করেন তিনি। মাল্টি মিলিয়ন ডলারের টুর্নামেন্ট আইপিএলে তাকে এভাবে নিয়মিত সেলিব্রেট করতে দেখা যায়। এ ক্যারিবিয়ান তারকার স্টাইলটি ক্রিকেট দুনিয়ায় বেশ জনপ্রিয়।
শ্রীশান্ত: ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করে ভারত। ওই সফরের এক ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সময় শ্রীশান্তকে স্লেজিং করেন প্রোটিয়া পেসার আন্দ্রে নিল। পরে তাকে ছক্কা মেরে পিচের মধ্যখানে দাঁড়িয়ে ব্যাট ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নেচে জবাব দেন ভারতীয় পেসার। যা এখনও ক্রিকেট রোমান্টিকদের মানসপটে লেগে আছে।
সৌরভ গাঙ্গুলি: ২০০২ সালে ওয়ানডে সিরিজের ষষ্ঠ ম্যাচে ওয়াংখেড়েতে ভারতকে হারিয়ে জার্সি খুলে মাথার ওপর ঘুরিয়ে সেলিব্রেট করেন ইংলিশ অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ। পরে এর দাঁতভাঙা জবাব দেন সৌরভ। মাস খানেক পরে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনালে লর্ডসের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ইংল্যান্ডকে তা ফিরিয়ে দেন ভারতীয় সাবেক অধিনায়ক।
Leave a reply