দিনাজপুর প্রতিনিধি:
ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিশু দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।
গতকাল বৃহস্পতিবার (০২ ডিসেম্বর) বিকেলে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ভান্ডার ইউনিয়নের একটি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে বারান্দায় বাঁশের খুঁটিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে তাকে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ রাসেল হোসেন (২৫) নামের এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে। পেশায় সে একজন গরু ব্যবসায়ী।
শিশুটির বাবা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় তার মেয়ে প্রাইভেট পড়ে বাড়িতে ফেরে। তার মা গরুর জন্য ঘাস কাটতে মাঠে গিয়েছিলেন। মেয়ের হাতে বাড়ির চাবি দিয়ে তিনি বাইরে যান। কিছুক্ষণ পর আমার স্ত্রী বাড়িতে এসে মেয়েকে বারান্দায় বাঁশের খুঁটির সঙ্গে রশি প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে।
তিনি আরও জানান, শিশুটিকে প্রথমে বিরল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: বলাৎকারের চেষ্টাকালে মাদরাসা শিক্ষকের বিশেষ অঙ্গ কেটে দিলো ছাত্র
শিশুটির বাবা বলেন, প্রথমে আমরা ধর্ষণের বিষয়টি বুঝতে পারিনি। দিনাজপুরে আসার পথে দেখি তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, রক্তক্ষরণও হয়েছে। সাধ্যমতো তার চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফখরুল ইসলাম শুক্রবার দুপুরে বলেন, শিশুটিকে বাড়িতে একা পাওয়ায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রাসেল হোসেন নামের একজনকে আটক করা হয়। আজ সকালে শিশুটির চাচা বাদী হয়ে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
Leave a reply