বেশ অনেক দিন ধরেই ইউক্রেনে রুশ সামরিক আগ্রাসনের সম্ভাবনার কথা বেশ জোরেসোরেই বলছে কিয়েভ। এমন দাবির পেছনে তাদের যুক্তি, ইউক্রেন সীমান্তে বিপুলসংখ্যক সেনা সমাবেশ ঘটাচ্ছে রাশিয়া। স্বাভাবিকভাবেই কিয়েভের মিত্র ওয়াশিংটনও একই কথা বলছে। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন এ ধরনের পরিকল্পনার বাস্তবায়ন রাশিয়ার জন্য খুব কঠিন করে তুলবেন তিনি। খবর এনবিসি’র।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, যদি তারা আক্রমণ চালায় তাহলে সম্ভাব্য সব ধরনের উদ্যোগই নেয়া হবে যেন মস্কোর জন্য ইউক্রেন পরিস্থিতিকে কঠিন হয়ে ওঠে। এর ঠিক এক দিন আগেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার উদ্দেশে বলেন, ইউক্রেনে হামলা চালালে দুর্ভোগ পোহাতে হবে মস্কোকে। বলেন, ইউক্রেন আক্রমণ করলে গুরুতর পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে রাশিয়াকে। এ পরিস্থিতিতেই আগামী সপ্তাহে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে বসছেন দুই দেশের প্রধান। ওয়াশিংটন ও মস্কো দুই কর্তৃপক্ষই এই ভার্চুয়াল মিটিংয়ের কথা নিশ্চিত করেছে।
গত শুক্রবার এক প্রতিবেদনে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, আগ্রাসন চালাতে ইউক্রেন সীমান্তে বিশাল সেনাসমাবেশ ঘটিয়েছে রাশিয়া। সম্ভাব্য সব উপায়ে আগামী বছরের শুরুতে এ হামলা চালাতে পৌনে দুই লাখ পর্যন্ত সেনা প্রস্তুত করছে মস্কো। আর ইউক্রেনের দাবি, জানুয়ারিতেই বড় আকারের হামলা চালাতে পারে রুশ বাহিনী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওয়াশিংটনের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ওয়াশিংটন পোস্টকে জানিয়েছেন, কামান ও অত্যাধুনিক যুদ্ধসরঞ্জামসহ অন্তত ১০০ ব্যাটালিয়ন যুদ্ধসেনার সমাবেশ ঘটানো হয়েছে ইউক্রেন সীমান্তে। তবে, ঠিক কী পরিমাণ সৈন্যকে আনা হয়েছে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি পেন্টাগন। তাদের মতে, ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা সমাবেশ অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
এ সব অভিযোগ ও হুমকির উত্তরে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি মস্কো, বরাবরের মতই সীমান্তে সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া।
এর আগে, ২০১৪ সালে অভিযান চালিয়ে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করেছিলো রাশিয়া। অভিযোগ আছে, ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদদ দিচ্ছে মস্কো প্রশাসন। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে ইউক্রেনিয়ান সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন দেশটির ১৩ হাজারের বেশি মানুষ।
/এসএইচ
Leave a reply