চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
নাতনীর পরকীয়ার ঘটনা জেনে যায় নানা। নাতনীর প্রেমের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় নানা শামসুল শেখ। সেই পথের কাঁটা সরাতে প্রেমিকের বুদ্ধিতে নানার শরীরে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করে নাতনী কামনা খাতুন ও তার পরকীয়া প্রেমিক রাশেদ। পরে সে হত্যার দায় চাপানো হয় সাবেক স্বামী হাসানের ওপর। মামলার প্রেক্ষিতে স্বামী হাসানকে গ্রেফতারও করে পুলিশ।
বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে তথ্যের ভিন্নতা পায় পুলিশ। নাতনী কামনা খাতুনকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হলে পরকীয়া প্রেমিক রাশেদকে জড়িয়ে নানা শামসুল শেখের হত্যার দায় স্বীকারও করেছেন নাতনী কামনা খাতুন। গত ২৯ নভেম্বর রাতে চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের বেলগাছি এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। পরে রোববার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে কামনা খাতুন তার প্রেমিক রাশেদকে জড়িত করে চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেন।
জবানবন্দীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, স্বামী হাসানের সাথে ডিভোর্সের আগেই কামনা রাশেদের সাথে সম্পর্কে জড়ান । সেই ছেলের সাথে সম্পর্কের কথা জেনে যান নানা, বকাঝঁকাও করেন। পরে রাশেদের বুদ্ধিতেই ঘুমন্ত নানার ঘাড়ে কীটনাশক ভর্তি ইনজেকশন পুশ করেন কামনা। নানা উঠেই রাশেদকে দেখেন। কিন্তু হাসানের চেহারার সাথে মিল থাকায় অন্ধকারে তাকে হাসানই মনে করেন। তাই হাসানের নামই বলতে থাকেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, শামসুলের মৃত্যুর সাথে সাথেই হাসানের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করে পরিবার। মৃত্যুর আগে তার নামও বলে যান শামসুল। তাই গ্রেফতার করা হয় হাসানকে। কিন্তু কামনাকে নির্যাতন, হত্যার হুমকির কথা স্বীকার করলেও হত্যার কথা অস্বীকার করেন হাসান। পরে নানা ঘটনা পরম্পরায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কামনাকে। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে নাটকীয় মোড় পায় মামলা। কামনা স্বীকার করেন, ঘাড়ে ইনজেকশন পুশ করে নানাকে নিজেই খুন করেছেন তিনি। যা তিনি আদালতেও স্বীকার করেছেন।
Leave a reply