ব্রাহ্মণবাড়িয়া :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পুত্র মনির হোসেনের (৩০) দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে খুন হয়েছেন পিতা ছুট্রু মিয়া (৬৫)। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বেড়তলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে স্থানীয়রা বলছেন মনির মানসিক ভারসাম্যহীন। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘাতক মনিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ছুট্রূ মিয়ার ছেলে মনির বেড়তলা এলাকায় একটি রাইস মিলে কাজ করত। মালিকের কাছ থেকে অনেক টাকা এনে মনির কাজে যাচ্ছিল না। স্বামীর যন্ত্রণায় তার স্ত্রীও বাবার বাড়ি চলে যায়। পাওনা টাকার বিষয় মিল মালিক মনিরের বাবাকে জানায়।
মনিরকে কাজে যাওয়ার জন্য চাপ দেয় তার বাবা। এতে বাবার উপর ক্ষুদ্ধ হয় মনির। হঠাৎ করে সোমবার বিকেল ২টার দিকে বাড়িতে আসে মনির। এসময় তার পিতা ছুট্রু মিয়া ঘুমে অচেতন। পরিবার ও প্রতিবেশীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধান শুকানোর হাতুড়ি দিয়ে ঘুমন্ত বৃদ্ধ পিতার মাথায় আঘাত করে। মাথা ফেঁটে দ্রূত গতিতে রক্ত ঝরতে থাকে। এ সময় স্বামীকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে মনির তার মা মিনারা বেগমকেও মেরে আহত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় ছুট্রু মিয়াকে সোমবার বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুত্রের আঘাতে আহত হয়ে মনিরের মা ও হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
পুলিশ ছুট্রু মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। ওই গ্রামের একাধিক ব্যক্তি বলেন, বছরে ১-২ বার মনির মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পাগলামি করে থাকে। এই ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মনিরকে তার বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করেছি। নিহতের ভাই মজিবুর রহমান (৪৫) বাদী হয়ে মামলা দায়ের করছেন।
Leave a reply