মাঠে অবিক্রীত পড়ে আছে প্রচুর লবণ, মিল পর্যায়ে মজুদও পর্যাপ্ত, তারপরও লবণ আমদানির তোড়জোড়ে উদ্বিগ্ন কক্সবাজারের চাষীরা। লবণ উৎপাদনের ভরা মৌসুমে এমন সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতী বলছেন তারা। এতে দেশীয় লবণ শিল্প ধ্বংসের পাশাপাশি চাষীরা ন্যায্যমূল্য বঞ্চিত হবে বলে শঙ্কা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের।
জানুয়ারী এবং ফেব্রুয়ারিকে ধরা হয় লবণ উৎপাদনের ভরা মৌসুম। কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকা মহেশখালী এবং কুতুবদিয়ার চাষীদের মধ্যে এখন চলছে মাঠ থেকে লবণ তোলার প্রস্তুতি। তবে ভরা মৌসুমের এই সময়ে লবণ আমদানির তোড়জোড় শুরু হওয়ায় উদ্বিগ্ন চাষীরা। এমনটা হলে লবণের ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় তারা।
সরকারি হিসাবে, দেশে বছরে লবণের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর বিপরীতে চলতি বছর লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ লাখ টন। মাঠ পর্যায়ে আগের বছরের অবিক্রীত থেকে গেছে আরও ৩ লাখ ৪৮ হাজার টন লবণ। এ অবস্থায় লবণ আমদানি অযৌক্তিক বলছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক।
উৎপাদনে ঘাটতি দেখিয়ে এরই মধ্যে ৩ দশমিক ১৬ লাখ টন লবণ আমদানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেছে শিল্প মন্ত্রণালয় সচিব জাকিয়া সুলতানা।
আরও পড়ুন : মেয়েকে বিদায় জানাতে এসে চিরবিদায় মায়ের
গেলো বছর দেশে লবণ উৎপাদন হয়েছে সাড়ে ১৬ লাখ টন। মাঠ পর্যায়ে বাস্তব মজুদ নিরূপণে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
/এডব্লিউ
Leave a reply