শিষ্ঠাচার বহির্ভূত আচরণ ও নারীর প্রতি অশালীন মন্তব্যের অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন ডা. মুরাদ হাসান। সেখানে স্বেচ্ছায় ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। তবে এই পদত্যাগপত্রেই ভুল তথ্য প্রকাশ করেছেন মুরাদ।
পদত্যাগপত্রটি মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) মেইল করে মন্ত্রণালয়ে পাঠান মুরাদ। সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মুরাদ হাসান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান ২০১৯ সালের ১৯ মে। এর আগে, একই বছরের ৭ জানুয়ারি গঠন করা মন্ত্রিসভায় তাকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তবে তার পাঠানো পদত্যাগপত্রে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগদানের তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ১৯ মে ২০২১।
পদত্যাগপত্রটি মেইল করে পাঠালেও এর ‘হার্ডকপি’ দিতে বলা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। তথ্যগত এসব ভুল সংশোধন করে আজই তা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হবে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরেছেন মুরাদ। তবে পদত্যাগপত্র নিয়ে তিনি মন্ত্রণালয়ে আসবেন নাকি তা অন্য কোনো মাধ্যমে পাঠিয়ে দেবেন তা জানা যায়নি।
প্রতিবেদনটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর এক ফেসবুক লাইভে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেন খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে। যা সমালোচনার ঝড় তোলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। প্রতিবাদ জানায় সাধারণ জনগণ, বিভিন্ন সংগঠন এমনকি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। পদত্যাগ ও ক্ষমা চাওয়ার দাবিও তোলা হয় ডা. মুরাদ হাসানের। পরে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সাথে তার কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হলে তৈরি হয় নতুন বিতর্ক। এর আগে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী থাকাকালেও নানান সময়ে বেফাঁস মন্তব্য করে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন ডা. মুরাদ হাসান।
আরও পড়ুন: অডিও ফাঁসের ঘটনায় ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিবি
এমন অবস্থায় ডা. মুরাদকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিষয়টি সোমবার রাতে নিশ্চিত করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী তাকে মঙ্গলবারের মধ্যে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন।
এরই মধ্যে মুরাদ হাসানের সাথে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি’র অডিও ফাঁসের ঘটনায় চিত্রনায়ক মামনুন হাসানকে (ইমন) জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিবি পুলিশ। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে ডিবি’র মিন্টু রোডের কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল ইমনকে। জানা গেছে, এ সময় তার সাথে প্রায় ৪০ মিনিট কথা বলেন ডিবি কর্মকর্তারা। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এসজেড/
Leave a reply