গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন থেকে রেহাই পেতে মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি স্বামী আলিম উদ্দিনকে ৫ বছর আগে ডির্ভোস দেন গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বোয়ালীদহ গ্রামের মৃত তছির উদ্দিনের মেয়ে তসলিমা বেগম (২২)। কিন্তু তাতেও রেহাই মিলছে না তসলিমার— এমনটা দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তসলিমা বেগম।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে সাদুল্লাপুর প্রেসক্লাব মিলানায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এই সংবাদ সম্মেলন। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ২০১০ সালে পলাশবাড়ী উপজেলার সাতার পাড়ার নজলার রহমানের ছেলে যাত্রীবাহী বাসের সুপারভাইজার আলিম উদ্দিনের সাথে তসলিমার বিয়ে হয়। কিন্তু আলিম উদ্দিনের মূল পেশা ছিল মাদক ব্যবসা। তিনি মাদক, নারী নির্যাতন ও হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি। এই বিষয়টি বিয়ের পর জানতে পারেন তসলিমা।
আরও পড়ুন: ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৯ রোহিঙ্গা আটক
মূলত, তখন থেকেই তিনি মাদক ব্যবসা থেকে সরে আসার জন্য আলিম উদ্দিনকে চাপ দেন। এতে তার ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে আলিম উদ্দিন। এক পর্যায়ে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল ২৭ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আলিম উদ্দিন ও তার ৩ সহযোগী পুলিশের হাতে আটক হয়। তসলিমা একই বছরের ১৯ নভেম্বর আলিম উদ্দিনকে ডির্ভোস দেন।
তিনি আরও জানান, ওই মাদক মামলায় আলিম উদ্দিনসহ তার ৩ সহযোগীর ১০ বছর করে সাজা হয়। তবে আলিম উদ্দিন ওই মামলায় আনুমানিক ৫ বছর সাজা খেটে উচ্চ আদালতে অপিল করে গত ২৪ নভেম্বর জামিনে কারাগার থেকে বের হয়ে আসে। এরপর থেকে তার ৪ বোন ও মাসহ বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের মোবাইলে প্রাণনাশসহ নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে বলে জানান তসলিমা। এ নিয়ে সাদুল্লাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে আলিম উদ্দিন জানান, তিনি কখনও তাদেরকে কোনো প্রকার হুমকি প্রদান করেননি।
এসজেড/
Leave a reply