জামালপুরে সন্ত্রাসীদের নিয়ে দল গড়েছিলেন ডা. মুরাদ

|

ডা. মুরাদ হাসান।

জামালপুর প্রতিনিধি:

ত্যাগী আর পরীক্ষিত কর্মীদের মূল্যায়ন নেই। জামালপুরে দলের বাইরে সন্ত্রাসীদের নিয়ে দল গড়েছিলেন সদস্য পদচ্যুত ডা. মুরাদ হাসান। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন সরিষাবাড়ী পৌরসভার কাউন্সিলর সাখাওয়াত আলম মুকুল।

মুকুল ও তার বাহিনী দিয়ে মাদক ব্যবসা, টেন্ডারবাজি, নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন ডা. মুরাদ হাসান। দলের সাথে কোনো সম্পর্ক না রেখে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, হামলা, নির্যাতন-লাঞ্ছিত করে কোণঠাসা করে রাখার অভিযোগ করছেন স্থানীয় নেতারা। মুরাদ হাসান প্রতিমন্ত্রীত্ব ও দলের পর হারানোর পর গা ঢাকা দিয়েছে এ সন্ত্রাসী বাহিনীও।

জামালপুর-৪ আসন থেকে ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান ডা. মুরাদ হাসান। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে এক সময়ের অটোরিকশা চালক সাখাওয়াত আলম মুকুলের নেতৃত্বে গড়ে তোলেন সন্ত্রাসী বাহিনী। জেলার আধিপত্য নিতে দলের ভেতরে গড়ে তোলেন উপদল।

মাদক ব্যবসা, টেন্ডারবাজিসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছে মুকুল বাহিনী। গত পৌর নির্বাচনে সরিষাবাড়ি পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয় মুকুল। কৌশলে সব প্রার্থীদের হটিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয় সে। মুরাদ প্রতিমন্ত্রী ও দলীয় পদ হারানোর পর গা ঢাকা দিয়েছে মুকুল ও তার বাহিনীর সদস্যরা।

তৃনমূল নেতাদের অভিযোগ, স্থানীয় কর্মীদের সাথে সম্পর্ক রাখতেন না মুরাদ। উল্টো তার বাহিনী দিয়ে নির্যাতনের মাধ্যমে ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের কোণঠাসা করে রেখেছিলেন। আছে সরকারি বরাদ্দ লুটপাটের অভিযোগও।

আরও পড়ুন: মা বোনদের কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা করে দেবেন: মুরাদ

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য হন মুরাদ হাসান। পরের মেয়াদে মনোনয়ন না পেলেও ২০১৮ সালে দলের টিকিটে এমপি নির্বাচিত হন তিনি।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply