যশোরের প্রাণ ভৈরব নদ এখন মানববর্জ্যের সেপটিক ট্যাংক

|

মানববর্জ্যের সেপটিক ট্যাংকে পরিণত হয়েছে যশোরের ভৈরব নদ। শহরবাসীর অভিযোগ, অপরিকল্পিত ভৈরব প্রকল্প ঘিরে এই সংকট আরও বেড়েছে। ব্যবহার হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা ফেলার ডাস্টবিন হিসেবেও। সাথে দখলের মহোৎসব তো চলছেই।

নোংরা পানি সরাসরি মিশছে ভৈরব নদে। প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। এতে ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে যশোরবাসীর প্রাণ, ভৈরব নদ।

যশোরে জলাবদ্ধতা নিরসন ও পানি ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে চলছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভৈরব প্রকল্প। তবে শহরবাসীর অভিযোগ, এই প্রকল্প সুফলের বদলে সংকট বাড়াচ্ছে। দড়াটানা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় অধিকাংশ ভবনের সুয়ারেজ লাইন নদের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। এতে মানববর্জ্য সরাসরি মিশছে সেখানে।

এরইমধ্যে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, বাড়ছে রোগবালাই। সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যাপক সোলজার হোসেন বললেন, এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে ঘটতে পারে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহিদুল ইসলামের দাবি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিদিন নদে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় দূষণ কমছে না। নির্বাহী প্রকৌশলী জানালেন, বিষয়টি পৌরকর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। প্রকল্প শেষে সমস্যা কেটে যাবে বলে দাবি এই কর্মকর্তার।

আরও পড়ুন : যেসব কারণে সংকটাপন্ন বাংলাদেশের বন্য হাতি

২০১৬ সাল থেকে প্রকল্পের কাজটি করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কয়েক দফা মেয়াদ বাড়িয়ে তা ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত নেয়া হয়েছে। ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭৯ কোটি টাকা।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply