কুয়েট বন্ধের সময়সীমা বাড়লো

|

ছবি: সংগৃহীত

খুলনা ব্যুরো:

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধের সময়সীমা আগামী ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৭৭তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আনিছুর রহমান ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষক সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এড়ানো এবং ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির সুষ্ঠু তদন্তের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সময়সীমা ১৩ ডিসেম্বর থেকে বাড়িয়ে ২৩ ডিসেম্বর করা হয়েছে।

গত ৩০ নভেম্বর বিকেলে মারা যান অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও ছাত্ররা জানান, লালনশাহ হলের ডিসেম্বর মাসের খাদ্য-ব্যবস্থাপক (ডাইনিং ম্যানেজার) নির্বাচন নিয়ে ফজলুল হক হলের বর্ডার কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান তার অনুগতদের ডাইনিং ম্যানেজার নির্বাচিত করার জন্য ড. সেলিমকে চাপ দিয়ে আসছিলেন।

এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বাধীন কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের রাস্তা থেকে ড. সেলিমকে জেরা শুরু করেন। পরে তারা শিক্ষককে অনুসরণ করে তার ব্যক্তিগত কক্ষে (তড়িৎ প্রকৌশল ভবন) প্রবেশ করেন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তারা আনুমানিক আধা ঘণ্টা তার সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।

ব্যক্তিগত কক্ষ থেকে বেরিয়ে ড. সেলিম দুপুরের খাবার খেতে ক্যাম্পাস থেকে নিজ বাসায় যান। দুপুর আড়াইটার দিকে তার স্ত্রী লক্ষ করেন তিনি বাথরুম থেকে বের হচ্ছেন না। দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অভিযোগ ওঠে, দাফতরিক কক্ষে কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বে কিছু সাধারণ ছাত্রের জেরা, অপমান, অবরুদ্ধ করে রাখা ও মানসিক নির্যাতনে ড. সেলিমের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে দু’দফায় কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে ২ ডিসেম্বর দুপুরে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে শিক্ষক সমিতি। প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানান শিক্ষকরা।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply