পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনার ঈশ্বরদীতে অপহরণ ও ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির ৪ দিন পর অপহৃত যুবকের লাশ উদ্ধার হয়েছে।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৯টায় দাশুড়িয়া নওদাপাড়া থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত অপহৃত হৃদয় হোসেন (২৪) নামের যুবক উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের নতুন রুপপর এলাকার মজনু আলীর ছেলে।
এর আগে, শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার পাকশীর রূপপুর তিনবটতলা এলাকা থেকে হৃদয় অপহৃত হয়। জানা যায়, প্রকাশ্যে মাইক্রোবাসে তুলে তাকে অপহরণ করা হয় তাকে। পরে অপহরণকারীরা ওই যুবকের মোবাইল ফোন থেকে কল দিয়ে তার স্বজনের কাছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
হৃদয়ের ভাই জীবন হোসেন জানান, সকালে দোকানে আসার পরপরই দোকানের সামনে একটি সাদা মাইক্রোবাস থামে। সেখানে উপস্থিত লোকজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই কয়েকজন হৃদয়কে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে পাবনার দিকে চলে যায়। এ ঘটনার পরপরই ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।
অপহৃত হৃদয়ের বাবা মজনু জানান, অপহরণের পর শুক্রবার বিকেলে একবার আমার ছেলের মোবাইল থেকে আমাকে কল করে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণের দিনই থানায় অভিযোগ লিখিত করেছিলাম। আজ ৪ দিন পর তার লাশ পেলাম।
পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের পর থেকেই আমদের প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল। আজ সোমবার রাতে মুক্তিপণের দাবিকৃত টাকা নিতে আসা অপহরণকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী দাশুড়িয়া-লালন শাহ সেতুর মহাসড়কের নওদাপাড়া দোতলা মসজিদ সংলগ্ন চাঁদ আলী নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়। চক্রটি ওই বাড়িটি ভাড়া নিয়ে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল বলে জানান তিনি।
অপহৃত হৃদয়ের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, অপহরণকারীরা হয়তো অপহরণের এক-দুদিন পরেই হৃদয়কে মেরে ফেলেছে। লাশটি থেকে গন্ধ ছড়িয়েছে। একজন অপহরণকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
/এসএইচ
Leave a reply