পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে শিক্ষা কর্মকর্তাকে লাঞ্চনার অভিযোগ

|

স্টাফ রিপোর্টার:

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের ঘোষণা মঞ্চ থেকে পৌর মেয়রের নাম দেরিতে ঘোষণা করায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মেহেরুল্লাহকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে পৌর মেয়র অভিযোগ শাহনেওয়াজ শাহানশাহর বিরুদ্ধে। মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় এ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় ঘোষণা মঞ্চ থেকে পৌরসভার মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশার নাম দেরিতে ঘোষণা করায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে মঞ্চে থাকা অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মেহেরুল্লাহকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ও শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন। এসময় উপস্থিত দর্শনার্থীরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়লে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মেহেরুল্লাহ জানান, পুষ্পস্তবক অর্পণ করার সময় প্রটোকল অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানা, দেওয়ানগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পরে দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহ’র নাম ঘোষণা করি। ৫ নম্বরে দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের নাম ঘোষণা করা হয়েছে বলে মেয়র জনসম্মুখে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং থাপ্পড় মারেন। এতে আমার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। এবং মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহ বলেন, আমি এ ধরনের কোনো কিছু করিনি এবং বলিওনি। আমি শুধু পৌরসভার নাম এত পরে কেন তা জানতে চেয়েছি।

মহান বিজয় দিবসে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার শারীরিক লাঞ্চনার খবরটি নিশ্চিত করে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবির জানান, এ বিষয়ে মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

পড়ুন: ‘এমন বাংলাদেশের জন্য আমার সন্তান প্রাণ দেয়নি’

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুন্নাহার শেফা জানান, পৌরসভার মেয়র কর্তৃক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে সরকারি দায়িত্ব পালনরত একজন সরকারি কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনাটি সত্যিই দুঃখজনক। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply