নির্মমতার শিকার হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মণডোরা গ্রামের কিশোরী বিউটি আক্তার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (প্রশাসন) প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে কমিটিকে। এদিকে, এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রধান আসামি বাবুল মিয়ার শ্বশুরকে আটক করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, বিউটি আক্তারকে যাতায়াতের পথে উত্ত্যক্ত করতো আসামি বাবুল মিয়া প্রতিবেশী, ২ সন্তানের জনক বাবুল মিয়া। এ বিষয়ে বিউটি অভিযোগ করলে ২১ জানুয়ারি তাকে অপহরণ করে বাবুল। অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে ধর্ষণ করে বিউটি আক্তারকে। অনেক মিনতির পর ৯ ফেব্রুয়ারি গুরুতর অবস্থায় বিউটিকে ফিরিয়ে দেয় বাবুল মিয়া।
এরপর গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিউটির বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মা ইউপি সদস্য কলমচানকে আসামি করে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে ৪টা মার্চ শায়েস্তাগঞ্জ থানা এ মামলা গ্রহণ করে পুলিশ। নিরাপত্তাহীনতায় ১৩ মার্চ বিউটিকে লাখাইয়ে নানার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু সেখান থেকে ১৬ মার্চ ফের অপহরণ করা হয় বিউটিকে। এরপর গত ১৭ মার্চ ব্রাহ্মণডোরা হাওরে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয় বিউটির মৃতদেহ। এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হলেও প্রধান আসামি বাবুল মিয়া এখনও পলাতক।
এদিকে, এমন নির্মম ঘটনায় নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনেছেন স্বজনরা। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন সবাই।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply