অল্পের জন্য ড্রোন হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন পাকিস্তানের তেহরিক-ই তালেবানের (টিটিপি) এক নেতা। আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশের চাওগাম নামক স্থানে এ ড্রোন হামলা চালানো হয়। খবর আল অ্যারাবিয়ার।
খবরে বলা হয়েছে, তেহরিক-ই তালেবানের শীর্ষ নেতা মোল্লা ফকির মোহাম্মদ ছিলেন এ ড্রোন হামলার মূল টার্গেট। কিন্তু কোনো কারণে তখন মোল্লা ফকির সেখানে ছিলেন না, তার জায়গায় উপস্থিত ছিলেন তেহরিক-ই তালেবান এর দুজন যোদ্ধা। হামলায় তারা সামান্য আহত হয়েছেন। কারা এ হামলা চালিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে পূর্বে এ এলাকায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে শুধুমাত্র পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। অনেকের সন্দেহের তীর এখনও তাদের দিকেই।
তালেবানের ক্ষমতাগ্রহণের আগে টিটিপি নেতা মোল্লা ফকিরকে আটক করেছিলো আফগান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর বাগরাম কারাগারে দীর্ঘদিন আটকও ছিলেন। কিন্তু গত আগস্টে তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের পর অন্যসব বন্দির মতো তিনিও মুক্তি পান।
আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী কুনার প্রদেশ টিটিপি যোদ্ধাদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এর আগে, ২০১৮ সালের জুনে কুনার প্রদেশেই এক ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছিলেন টিটিপির তৎকালীন প্রধান মোল্লা ফয়জুল্লাহ। ২০০৯ সাল থেকে সেখানে লুকিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৯ নভেম্বর পাকিস্তান সরকার তেহরিক-ই তালেবানের সাথে এক মাসের অস্ত্রবিরতি চুক্তি করে। কিন্তু পাক সরকার টিটিপিকে দেয়া প্রতিশ্রুতি পালন না করে দাবি করে অস্ত্রবিরতি চুক্তি থেকে গত ১০ ডিসেম্বর সরে আসে সংগঠনটি। এর একদিন পরই খাইবার পাখতুনখোয়ার তাঙ্ক জেলায় এক পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করে তারা।
/এসএইচ
Leave a reply