অভিবাসন দিবস কাল, অনিরাপদ অভিবাসন সমস্যা মিটবে?

|

দেশের অর্থনীতিতে এখনও নিশ্চিত হয়নি নিরাপদ অভিবাসন। গুরুত্বপূর্ণ অবদার রাখার পরও নিয়মিত প্রতারিত হচ্ছেন প্রবাসীরা। অনেক ক্ষেত্রেই মিলছে না প্রতিশ্রুত কাজ ও মজুরি। এ খাতে সবচেয়ে বেশি বঞ্চনার শিকার নারী কর্মীরা। প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলছেন, অভিবাসী কর্মীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছেন তারা। দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে আগামীকাল পালন করা হবে অভিবাসন দিবস।

কর্মসংস্থানসহ নানা কারণে প্রতিবছর অভিবাসী হচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ। বর্তমানে সারা বিশ্বে এ সংখ্যা ২৮ কোটির ওপরে। যা মোট জন সংখ্যার সাড়ে ৩ শতাংশের বেশি। সংঘাত সহিংসতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতিবছরই বাড়ছে এ সংখ্যা।

অভিবাসীদের বড় অংশই দক্ষিণ এশিয়ার। গেল কয়েক দশকে কাজের সন্ধানে বিদেশ গেছেন সোয়া এক কোটির বেশি বাংলাদেশি। ৯০ দশকে পুরুষ কর্মীর পাশাপাশি যুক্ত হয়েছেন নারী কর্মীরাও। তবে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে নানা হয়রানি ও প্রতারণার স্বীকার হন এসব কর্মীরা। বাড়তি অভিবাসন ব্যয়ে বিদেশ গিয়েও মেলে না কাঙ্খিত মজুরি ও কাজ। অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রামের (ওকাপ) চেয়ারম্যান শাকিরুল ইসলাম বলেছেন, আর এ ভোগান্তির সবচেয়ে বড় শিকার নারী অভিবাসীরা।

তবে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, অভিবাসী কর্মীদের হয়রানির মূলে রয়েছে দালালচক্র। এটি নিয়ন্ত্রণে কর্মীদের মধ্যে সচেতনতা জরুরি বলেও মনে করেন তিনি। আর এ লক্ষ্যে তাদের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানালেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের কল্যাণে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। বিশেষ করে করোনার সময় ফেরত আসা কর্মীদের পুর্ণবাসনে কাজ করছেন তারা। এছাড়া তাদের প্রশিক্ষণের ব্যাপারেও জোর দেয়া হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

অন্যদিকে ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যগামী বিমান ভাড়া কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় অভিবাসন খাত হয়ে পড়ছে আরও ঝুঁকিপূর্ণ। এ নিয়ে প্রতিবেদনটি পড়ুন এই লিংকে

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply