শবনম ফারিয়াকে নির্যাতনের অভিযোগে যা বললেন সাবেক স্বামী

|

সম্প্রতি স্বামীর অত্যাচারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেঘলার মারা যাওয়ার ঘটনায় পারিবারিক নির্যাতনের বিষয়গুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে অভিনেত্রী শবনম ফারিয়াও সরব হয়েছিলেন। এক ফেসবুক পোস্টে শবনম ফারিয়া অভিযোগ করেছিলেন, স্বামীর নির্যাতনে তার হাত ভেঙে গিয়েছিল। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ নিয়ে অপু ফেসবুকে লিখেছেন, পারিবারিক নির্যাতনের বিষয়টি সত্য নয়। এটা নিছক একটি ঘটনাকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার পরিকল্পনা।

ফারিয়া তার একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, তার হাত ভাঙার পর যখন কেউ জানতে চেয়েছে কী হয়েছে, তিনি বলেছেন, সিঁড়ি থেকে পড়ে ব্যথা পেয়েছেন। তিনি লেখেন, আমার সাহস ছিল না সবাইকে বলার যে কীভাবে ব্যথা পেয়েছি! কারণ আমি জানতাম এই মানুষটার সাথেই থাকতে হবে, নইলে মানুষ কী বলবে! আমার মা সমাজে মুখ দেখাবে কীভাবে! আমার দুই বোন যে স্বপ্ন নিয়ে এত আয়োজনের প্ল্যান করছে, তাদের কী জবাব দেবো! কাবিনের তিন মাস না যেতেই এত কিছু! নিশ্চয়ই সমস্যা আমারই! আমি এইটা ভেবে দিনের পর দিন জানালা দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে, রাতের পর রাত নির্ঘুম কাটিয়েছি!

এর প্রেক্ষিতেই অপু ফেসবুকে লিখেছেন, অভিযোগ দুই দিকেই থাকে, আমরা কেউই সন্ন্যাসী না। দিনের পর দিন কারও আসমান সমান অভিযোগ থাকলে, আরেক দিকে পাহাড় সমান থাকারই কথা। অভিযোগকে পুঁজি করে নিজেকে সাধু সাজিয়ে ভিকটিম হিসেবে প্রকাশ করা অনেকের অভ্যাস হতে পারে।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাদের বিয়ে হয়। এক বছর নয় মাসের মাথায় ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর বিচ্ছেদ হয় ফারিয়া ও অপুর। তখন বলা হয়েছিল, পারস্পরিবক বোঝাপড়ার অভাব থাকায় তারা যৌথভাবে এ সিদ্ধান্ত নেন। তবে সম্প্রতি শবনম ফারিয়া দাবি করেছেন, তার সংসার ছাড়ার মূল কারণ, স্বামীর নির্যাতন।

শবনম ফারিয়া তার পোস্টে জানিয়েছেন, হাত ভাঙার পর ওই অবস্থায়ই দেবী সিনেমার প্রচারে অংশ নিয়েছেন তিনি। তার ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদনটি পড়ুন এই লিংকে

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply