বিশ্ববাজারে দাম কমলেও দেশে ঊর্ধ্বগতি ভোজ্যতেলের মূল্যে

|

ছবি: সংগৃহীত।

উচ্চ দামেই স্থির ভোজ্যতেলের দাম। আমদানি মূল্য সমন্বয় করে নির্ধারণ করে দেয়া হয় দাম। তবে বিশ্ব বাজারে দাম কমতে থাকলেও স্থানীয় বাজারে তার প্রভাব নেই। প্রতি টন সয়াবিন তেলে দাম কমেছে প্রায় ২০০ ডলার। বলা হচ্ছে মজুদ শেষ হলে বাজারে আসবে নতুন দামের তেল, তখন কমে আসবে দাম। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় বাজারে তার প্রভাব পড়ে।

এদিকে, বাজার জুড়েই ক্রেতার হা হুতাশ আর দীর্ঘশ্বাস। এমন কোনো পণ্য নেই, যার দাম সহনীয়। ভোজ্যতেল কিনতেই শেষ হচ্ছে ক্রেতার পকেট। বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম এখন ১৬০ টাকা। বিশ্ববাজার পর্যালোচনা করে এই দাম বেধে দিয়েছে সরকার।

আরও পড়ুন: গুলিবিদ্ধ সেই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যু, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২

যে সময় দাম নির্ধারণ হয়, তখন বিশ্ববাজারে প্রতিটন সয়াবিনের দাম ছিল প্রায় ১৫০০ ডিলার। তবে এখন ধীরে ধীরে কমছে দাম। ট্যারিফ কমিশনের তথ্য বলছে, বিশ্ব বাজারে এখন প্রতিটন অপরিশোধিত তেলের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ১৩০০ ডলার। অর্থাৎ টাকায় রূপান্তর করলে এক লিটার তেলের দাম দাঁড়ায় ১১২ টাকা। দাম তো সমন্বয় হচ্ছেই না, উল্টো বাজার জুড়েই দাম বাড়ানোর তোড়জোড়।

গত বছরের মাঝাামাঝিতে বিশ্ববাজারে প্রতিটন ভোজ্যতেলের দাম ছিল ৭০০ ডলার। করোনার কারণে বছরের ব্যবধানে দাম হয়ে যায় প্রায় দ্বিগুণ।

ক্রেতারা জানিয়েছেন, নতুন করে দাম নির্ধারণ করা জরুরি। তবে এ বিষয়ে এখনও তেমন কোনো প্রস্তুতি নেয়নি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

/এসজেড


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply