ভবিষ্যতে মানুষের কাজের একটা বড় অংশই করবে যন্ত্র। সে সময় কল-কারখানায় কাজে লাগবে কারিগরি জ্ঞানে দক্ষ মানবসম্পদ। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দরকার দক্ষ জনগোষ্ঠী। কিন্তু দেশে কি সেই দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি হচ্ছে? শিক্ষার্থীরা বলছেন, মান্ধাতার আমলের কারিগরি শিক্ষা থেকে বের হতে পারছেন না তারা। যদিও শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটেছে। আর বিশেষজ্ঞরা তাগিদ দিয়েছেন এই শিক্ষাকে ঢেলে সাজানোর।
দেশের প্রাচীন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সস্টিটিউট। সেখানে ১২ হাজারের মতো শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। কারিকুলাম ও গবেষণাগারের বেশিরভাগই প্রাচীন। ব্যবহারিকের চেয়ে তাত্ত্বিক বিষয়ই বেশি শিখতে হচ্ছে তাদের। শিক্ষার্থীরা বলছেন নতুন প্রযুক্তি সংক্রান্ত পড়ালেখার সুযোগ তারা কম পান।
প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকদের অনেকেই দেশে বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। আগামী দশকের মধ্যেই কারিগরি শিক্ষায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলেও দাবি তাদের।
কারিগরি শিক্ষাকে মূলধারার শিক্ষাব্যবস্থা থেকৈ বিচ্ছিন্ন করে দেখার একটা মানসিকতা দেশে এখনও বিদ্যমান। এসব কারণে দেশে শিক্ষিত বেকার থাকলেও শিল্পখাতে বহু কর্মী আনা হয় বাইরে থেকে। কারিগরি শিক্ষা বিশ্লেষক মুজিবুর রহমান বললেন, এ সমস্যা সমাধানে সমন্বিত শিক্ষা পরিকল্পনা প্রয়োজন।
আর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, ২০২০ সালের মধ্যে দেশের মোট শিক্ষার্থীর ২০ শতাংশ কারিগরি শিক্ষার ধারায় আনার কথা থাকলেও তা ইতোমধ্যে ১৭ ভাগ করা সম্ভব হয়েছে।
সরকারি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় কারিগরি শিক্ষায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এখনও পিছিয়ে। সেই সীমাবদ্ধতা দূর করতেও পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।
প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে যন্ত্র এখন মানুষের স্থান দখল করছে। এখন থেকে মানুষের মতো মুখভঙ্গি প্রকাশ করবে রোবট। প্রতিবেদনটি পড়ুন এই লিংক থেকে।
/এডব্লিউ
Leave a reply