ক্ষেতে কাজ করার সময় এক কৃষক হঠাৎ দেখেন ঠাণ্ডায় কষ্ট পাচ্ছে দুটি ‘বিড়াল ছানা’। পরম যত্নে বাসায় নিয়ে যাওয়ার কিছুদিন পর বুঝতে পারলেন, বিড়াল ছানা ভেবে তিনি ঘরে এনে তুলেছেন একজোড়া চিতাবাঘের বাচ্চা! আর এমন ঘটনাই ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ধার জেলার বাজরিখেড়া গ্রামে। সংবাদ আনন্দবাজার পত্রিকার।
জানা যায়, কিরণ গিরি নামে ওই কৃষক বিড়াল ছানা ভেবে বাঘের বাচ্চাগুলিকে খাইয়েদাইয়ে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করেন। তবে একদিন শাবকদের ডাক শুনে চমকে গেলেন তিনি। কারণ, সাধারণত বিড়াল যেভাবে ডাকে, শাবকদের স্বর তেমন ছিল না। বরং, তা অনেকটাই ছিল গর্জনের মতো। আওয়াজ শুনে সন্দেহ হয় কিরণ গিরির। ভালো করে খেয়াল করতেই তিনি বুঝতে পারেন, ঘরে এনে তুলেছেন তিনি একজোড়া চিতাবাঘের বাচ্চা! তারপর দ্রুত বন বিভাগকে খবর দেন তিনি।
এরপরই বন বিভাগের কর্মীরা এসে কিরণের বাড়ি থেকে বাচ্চা দু’টিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। কিন্তু বাচ্চা দু’টির শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভাল না থাকায় তাদের মৃত্যু হয়।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ওই জেলায় প্রায়ই চিতাবাঘের আনাগোনা দেখা যায়। অনেক সময় লোকালয়ে ঢুকে পড়ে তারা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে গ্রামবাসীদের হাতে মৃত্যুও হয় চিতাবাঘের। উল্লেখ্য, ভারতে সবচেয়ে বেশি চিতাবাঘ রয়েছে মধ্যপ্রদেশে। ৩ হাজার ৪২১টি চিতাবাঘ রয়েছে রাজ্যটিতে।
Leave a reply