শীত পড়লেই সর্দি-কাশির সমস্যা শুরু হয় অনেকেরই। এসময়ে বেড়ে যায় ব্যাকটিরিয়া-ভাইরাসের প্রকোপ। তার জেরেই বাড়তে থাকে অসুখ। এই সময়ে শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে জোর দেয়া জরুরি।
শীতে বাতাস ভারী থাকে। সেই কারণে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস বাতাসের নীচের স্তরে নেমে আসে। এর ফলে মানুষের শরীরে চট করে ভাইরাস ঢুকে যায়। এর জন্য ভাইরাস জনিত রোগ শীতে বেশি হয়। ছোট বা বয়স্করা যাদের ইমিউনিটি ক্ষমতা কম তাঁরা সহজে আক্রান্ত হন। শ্বাসকষ্ট, ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যাও শীতে বেশ বাড়ে।
শীতকালে মস্তিষ্কে এবং হৃদয়ে রক্তচলাচলকারী নালী সংকোচন বেশি মাত্রায় হয় তাই হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক শীতকালেই বেশি হয়। ব্রঙ্কাইটিস বাড়ে। বড়দের রক্ত চাপ বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া শিশুদের ভাইরাল ডায়রিয়াও হয়। ফলে প্রথম থেকেই সতর্ক হতে হবে।
আসুন জেনে নেয়া যাক এইসব রোগ থেকে বাঁচতে কিছু করণীয়-
আদা, লেবু, মধু দিয়ে আরও একটি পানীয় তৈরি করা যেতে পারে। এর উপকারিতাও প্রচুর। মাঝেমাঝে খেলে কাশি কমবে, সাথে বাড়বে প্রতিরোধশক্তিও। রোজ দু’বার এই পানীয় গরম করে খেলে ঠান্ডা লাগার মতো সমস্যা দূর হতে পারে।
খেতে পারেন হলুদ মেশানো দুধও। হলুদের অ্যান্টি-ব্যাক্টিরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণ আছে। এই পানীয় নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে সর্দি-কাশি। বেসনের সাথে দুধ, ঘি, হলুদ আর গোলমরিচ দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। একে বলা হয় বেসনের শিরা। এর মধ্যে আদাও দেয়া যায়। সর্দি-কাশি হলে মাঝেমাঝেই এই পানীয় খাওয়া যেতে পারে। দ্রুত কষ্ট কমবে।
আরও পড়ুন: চেহারায় বয়সের ছাপ? বাদ দিতে হবে যেসব খাদ্যভ্যাস
চা খাওয়ার অভ্যাস না থাকলেও আদা কুচি করে রাখা যায়। কাশি হলেই কয়েক কুচি আদা মুখে দিলে সাথে সাথে গলায় আরাম মিলবে। এ ছাড়াও করা যায় আর একটি কাজ। কয়েক টুকরো আদা পানিতে ফেলে তা ফুটিয়ে নেয়া যায়। তা মাঝেমাঝে অল্প অল্প করে খেলেও মিলবে আরাম।
Leave a reply