স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, টাঙ্গাইল:
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানায় নিজ বাড়িতে হওয়া চুরির মামলা না নেয়ায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. ওহাব মিয়ার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক (আরআই) আক্তারুজ্জামান খান।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সম্মেলনে আক্তারুজ্জামান অভিযোগ করেন, থানার ওসি ওহাব মিয়া মামলা না নিয়ে উল্টো তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, গত ২৫ নভেম্বর রাতে তার বাড়িতে চুরি হয়। এসময় তার ঘর থেকে ৩০ ভরি স্বর্ণ, নগদ এক লাখ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। পরে তিনি ভূঞাপুর থানায় চুরির বিষয়টি অবহিত করলে থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এজেডএম তৌফিক এলাহি ও এসআই ফাহিমসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ওইদিন রাতেই তিনি উপজেলার শিয়ালকোল গ্রামের রাজ্জাক খান ও তার ছেলে আবির খানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরদিন ২৬ নভেম্বর বিকেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আ. ওহাব মিয়া ও এসআই ফাহিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং মামলা না করার জন্য তাকে (আক্তারুজ্জামান) চাপ প্রয়োগ করেন। ওইদিনই সন্ধ্যায় পুনরায় তাকে থানায় ডেকে নিয়ে বিভিন্ন হুমকি দেন এবং মামলা করলে তার ক্ষতি হবে বলেও জানিয়ে দেন ওসি ওহাব মিয়া।
আরও পড়ুন: মার চেয়ে মাসির দরদ বেশি: মির্জা ফখরুলকে কৃষিমন্ত্রী
আরও জানান, গত ১০ ডিসেম্বর ওসি ওহাব মিয়ার নির্দেশে একটি শালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয় এবং তাকে এসআই মেহেদীর নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী দিয়ে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করা হয় বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন আক্তারুজ্জামান।
পরবর্তীতে তিনি টাঙ্গাইল আদালতে আরজি পেশ করলে আদালত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা নেয়ার জন্য ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন। পরে ১১ ডিসেম্বর মামলা রেকর্ড করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেফতার না করায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ অভিযোগের প্রসঙ্গে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. ওহাব মিয়া বলেন, পাঁচদিন উনি বাড়িতে ছিলেন না। এ সময় বাড়িতে চুরি হয়েছে মর্মে তার ভাই রাজ্জাক খান ও ভাতিজা আবির খানের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করতে আসেন। যেখানে তিনি বাড়িতেই ছিলেন না, তাহলে কিভাবে তিনি নাম উল্লেখ করে মামলা করছেন। এমন প্রশ্ন উঠায় আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্তে যাই এবং স্পষ্ট হই জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তিনি বৃদ্ধ ভাই ও ঢাকা কলেজ থেকে অনার্স পাশ করা ভাতিজাকে হয়রানি করতেই মামলাটি করছেন।
তিনি আরও বলেন, সম্পূর্ণ ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের চেষ্টাসহ হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলার অভিযোগ করায় আমি সেটি থানায় লিপিবদ্ধ করিনি। পরে তিনি আদালতে অজ্ঞাত নামা আসামি দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর আদালতের নির্দেশে থানায় মামলাটি রুজু হয়েছে। মামলাটির তদন্ত চলছে, দোষী সাবস্ত ব্যক্তিদের অবশ্যই গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান তিনি।
এসজেড/
Leave a reply