চূড়ান্ত হয়েছে বিপিএলের রূপরেখা, ৬ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে এবারের আসর। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে প্লেয়ার্স ড্রাফট। তবে ৩ ভেন্যুর পরিবর্তে সময় স্বল্পতার কারণে ২ ভেন্যুতে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করার চিন্তা আছে বিসিবির।
বিপিএলের আগামী আসরের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি চূড়ান্ত করেছে বিসিবি। ৮ দলের পরিবর্তে এবার টুর্নামেন্ট হবে ৬ দল নিয়ে। থাকছে না উত্তরবঙ্গের দুই দল রংপুর ও রাজশাহী। বিপিএলের সবচেয়ে সফল দল ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজি পেয়েছে রূপা ও মার্ন গ্রুপ। আক্তার ফার্নিচার পেয়েছে চট্টগ্রাম। বরিশালের দায়িত্বে এসেছে ফরচুন সুজ। লোটাস কামাল গ্রুপ কুমিল্লা, প্রগতি গ্রুপ সিলেট আর মাইন ট্রি পেয়েছে খুলনার ফ্র্যাঞ্চাইজি।
প্রতিটি দল একজন করে দেশি ক্রিকেটার সরাসরি দলে নেবার সুযোগ পাচ্ছে। ইতিমধ্যেই সাকিবকে বরিশাল, ঢাকা মাশরাফীকে, খুলনা মুশফিককে আর চট্টগ্রাম ডেরায় ভিড়িয়েছে মাহমুদুল্লাহকে। এছাড়াও কুমিল্লা তামিম ইকবালকে আর সিলেট চুক্তি পাকাপাকি করেছে মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে। এছাড়াও তিনজন করে বিদেশি ক্রিকেটার সরাসরি সাইন করতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। বিদেশি কোটায় সর্বনিম্ন ৩ জন থেকে সর্বোচ্চ ৮ জন ক্রিকেটার দলে ভেড়ানো যাবে। ২০ জানুয়ারি শুরু হবার কথা টুনামেন্ট। এর আগে দল গোছানোর জন্য প্লেয়ার ড্রাফট হবে ২৭ ডিসেম্বর।
বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, খেলোয়াড়দের ড্রাফটের ব্যাপারে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়নি বিসিবি। তবে এ মাসের শেষদিকেই তা হওয়ার কথা রয়েছে।
বিপিএলের প্রাথমিক পরিকল্পনায় ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও সিলেট কে চূড়ান্ত করা হয়েছিল ভেন্যু হিসেবে। তবে সময় বাচানোর প্রয়োজন হলে বাদ পড়তে পারে সিলেট। এ ব্যাপারে জালাল ইউনুস বলেন, চট্টগ্রাম এগিয়ে থাকবে হয়তো। কারণ স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা বেশি সেখানে। তাছাড়া চট্টগ্রামের উইকেটও ফ্ল্যাট এবং ব্যাটিং উপযোগী। আর এই ফরম্যাটে ফ্ল্যাট উইকেট থাকলে রান হয়।
জালাল ইউনুস নিশ্চিত করেছেন এই মাসেই হতে পারে আরেকটি বোর্ড সভা। যেখানে বিসিবির নব নির্বাচিত কমিটির সদস্যদের মাঝে বণ্টন করা হবে দায়িত্ব।
Leave a reply