বিশ্বজুড়ে পাটপণ্যের বাজার বাড়লেও বাড়ছে না রফতানি আয়

|

বিশ্বজুড়েই বাড়ছে পাট ও পাটজাত পণ্যের বাজার, চাহিদাও আছে বাংলাদেশের সোনালি আঁশজাত পণ্যের। কিন্তু পণ্যের বহুমুখীকরণে গবেষণা ও উদ্যোগহীনতার কারণেই কাঙ্খিত মাত্রায় বাড়ছে না পাট পণ্যের রফতানি আয়। চলতি বছরে ১৪২ কোটি ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

বিশ্ববাজারে যখন চাহিদা বাড়ছে পাট ও পাটজাত পণ্যের তখন এক ধাক্কায় ২৭টি সরকারি পাটকল বন্ধ করে দেয় সরকার। এসব মিলে নানা ধরনের পাটের বস্তা, ব্যাগ ও সুতা তৈরি হতো। বিশ্লেষকরা জানান, পণ্যগুলো আমাদের দেশীয় উৎপাদনের সিংহভাগের যোগান দিতো। আর পাট উৎপাদনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে কোটি কৃষক জড়িত বলে জানান তারা।

পাটখাতে ২০২০-২১ অর্থবছরে রফতানি আয় ছিল ১১৬ কোটি ডলার। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৪২ কোটি ডলার। নভেম্বর পর্যন্ত কাঁচা পাট রফতানি আয় সাড়ে ৯ কোটি ডলার, পাটের সুতা থেকে ২৭ দশমিক, পাটের বস্তা থেকে ৫ দশমিক ৩ কোটি ডলার এবং অন্যান্য পাটজাত পণ্য থেকে ৩ দশমিক ৭ কোটি ডলার। নভেম্বর পর্যন্ত মোট ৪৬ কোটি ডলার আয় হলেও গতবছরের একই সময়ে চেয়ে প্রায় ৯ ভাগ কম।

অন্যদিকে বন্ধ করে দেয়া ২৭টি সরকারি পাটকল এখন বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। যদিও পাট ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের দাবি ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো আধুনিকায়ন করে পুনরায় চালু করার। সে সম্পর্কিত প্রতিবেদনটি পড়ুন লিংকে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply