রাষ্ট্রপতির কাছে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব জাতীয় পার্টির

|

বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়া জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আলাদা আইন প্রণয়ন, প্রয়োজনে অধ্যাদেশ জারি এবং সার্চ কমিটি গঠনে চার-পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করেছে জাতীয় পার্টি। তবে কারা কারা আছেন এই তালিকায়, তা গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করেনি এই রাজনৈতিক দল। সোমবার বিকেলে বঙ্গভবনে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পার্টির হয়ে এই সংলাপে অংশ নেন দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

এই আলোচনায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই শেষ হবে। এর পূর্বেই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার এই উদ্যোগ।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে সকল রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সহযোগিতা কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এতে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে তাদের প্রস্তাবনাসমূহ তুলে ধরেন। আলোচনার এই উদ্যোগ নেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয় দলটির পক্ষ থেকে।

জাতীয় পার্টি সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেন এবং সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাহী বিভাগ কর্তৃক নির্বাচন কমিশনের সার্বিক কার্যক্রমে সহযোগিতা নিশ্চিত করতে আরেকটি আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেন। দলটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, যদি এই সময়ের মধ্যে আইন প্রণয়ন সম্ভব না হয় তাহলে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এটি করা যেতে পারে। যদি আইন প্রণয়ন ও অধ্যাদেশ জারি সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেন। তারা রাষ্টপতির এই উদ্যোগে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের কথা দেন।

নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রথম রাজনৈতিক দল হিসাবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জাতীয় পর্টির সংলাপ অুনষ্ঠিত হয়।

জাতীয় পার্টির আট প্রতিনিধির মধ্যে জি এম কাদের ছাড়া এতে অংশ নেয়া অন্যান্যরা হলেন দলটির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান যথাক্রমে এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও সালমা ইসলাম এবং দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ও সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply