বড় হয়ে ডন হওয়ার স্বপ্ন যাদের

|

খুলনায় এমন ৯টি কিশোর গ্যাংয়ের সন্ধান পেয়েছে র‍্যাব। সিসিটিভির ছবি।

বড় হয়ে ডন হওয়ার স্বপ্ন তাদের। সেই স্বপ্ন থেকেই জড়িয়ে পড়ছে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। ৭/৮ জন একত্রিত হয়ে গড়ে তুলছে কিশোর গ্যাং। গ্রুপে আছে হত্যা মামলার আসামি, এমনকি কিশোরীও। নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে ছিনতাই, মাদক কেনাবেচা, পরিবারের সদস্যদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার মতো আপরাধ করছে অবলীলায়। খুলনায় এমন ৯টি কিশোর গ্যাংয়ের সন্ধান পেয়েছে র‍্যাব।

খুলনার খালিশপুরে আধিপত্যের জন্য প্রতিপক্ষের ওপর হামলার একটি ভিডিওতে দেখা যায় আক্রমণকারী সবার হাতেই দেশীয় অস্ত্র। এসময় প্রতিপক্ষের সদস্যকে কুপিয়ে নির্বিঘ্নে সটকে পড়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।

নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে জেলায় হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটছে অহরহই। দ্যা কিং অব রূপসা, চিকি গ্রুপ, শ্যাডো টাচসহ বিভিন্ন নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, মোটরসাইকেল মহড়া, দেয়াল লিখনসহ বিভিন্নভাবে আত্মপ্রকাশ করছে তারা। অপরাধপ্রবণতা এতটাই বেশি যে, প্রতিপক্ষকে হত্যা করতেও দ্বিধা করছে না তারা।

অপরাধ কার্যক্রম চালানোর জন্য যে টাকা প্রয়োজন, তা তার চুরি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করে উপার্জন করে বলে জানালেন র‍্যাব ৬ এর পরিচালক মুহাম্মদ মোশতাক আহমেদ।

নেশাগ্রস্ত সদস্যরা নিজেদের পরিবারের জন্যও হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। টাকা না পেলে নির্যাতনের ঘটনাও ঘটছে পরিবারে। তেমনি এক নির্যাতনে কথা জানান এক কিশোর গ্যাং সদস্যের মা।

কিশোর গ্যাংয়ে মেয়েদের উপস্থিতি ভাবিয়ে তুলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। মূলত এরা নেশাদ্রব্য বেচে অর্থ সংগ্রহে সহায়তা করে বলে জানাচ্ছেন র‍্যাব পরিচালক।

প্রতিটি গ্যাংয়ের পেছনে তথাকথিত বড় ভাইদের আশীর্বাদের কথা জানিয়েছে র‍্যাব। সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নেয়া কিশোর গ্যাংদের অপরাধমুক্ত করার পাশাপাশি, তথাকথিক বড় ভাইদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে তারা।

এদিকে অন্য জেলা মাদারীপুরেও কিশোর গ্যাংয়ের আধিপত্য বেশ ভাবাচ্ছে অভিভাবকদের। একের পর এক আলোচনার জন্মও দিচ্ছে উঠতি বয়সী কিশোররা। মারামারি তো করছেই পাশাপাশি জড়াচ্ছে আরও গুরুতর অপরাধে। এ নিয়ে গ্যাংস অফ মাদারীপুর শিরোনামের প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে
/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply