উত্তরের মাঠে-মাঠে এখন আগাম জাতের আলু উত্তোলনের ধুম। তবে দাম নিয়ে হতাশ চাষিরা। তাদের দাবি, চাষাবাদে খরচ বৃদ্ধি পেলেও মাঠে কিংবা হাটে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মূল্য। অথচ তা বেশি দামে বেচে লাভবান হচ্ছে মধ্যসত্বভোগীরা। তাই বিপণন ব্যবস্থায় সরকারের নজরদারি বাড়ানোর দাবি কৃষকদের।
ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তার পাশাপাশি, আগাম জাতের আলুতে সারের খরচও ছিলো গত মৌসুমের তুলনায় দ্বিগুণ। চাষীরা বলছেন, আলুর বাজার দর কম কিংবা বেশি হলেও, সুবিধার পুরোটাই চলে যায় মধ্যস্বত্বভোগীদের ঘরে। কৃষিপণ্যের বাজার ব্যবস্থাপনা কার্যকর না থাকায় হিমাগারে মজুদ রেখেও লোকসান সেই কৃষকেরই।
ঠুনকো বাতাসেই যেখানে কৃষিকাজের ব্যয় বেড়ে যায়, সেখানে বীজতলা থেকে মোকামে ফসল বিক্রি পর্যন্ত দাম নিয়ে শঙ্কাও থেকে যায় কৃষকের। এবার আবার প্রাকৃতিক বৈরিতায় অনেক অঞ্চলে আগাম আলুর ফলনে খানিকটা প্রভাব পড়েছে। অন্যদিকে এখনই কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত আলু পৌঁছাতে দামের ফারাক দাঁড়িয়ে যাচ্ছে কেজিপ্রতি অন্তত ৩০ টাকা। এ অবস্থায় পূর্ণ মৌসুম শুরুর আগেই আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের দাবি মাঠের কৃষকের।
যদিও কৃষি বিভাগ বলছে, আলুর এই বিপণন প্রক্রিয়া খুব সহজে ভাঙা সম্ভব নয়। আলু বা কৃষিপণ্যের বিপণনকে বাণিজ্যিকীকরণ ছাড়া, দাম নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য তাদের।
উল্লেখ্য, বগুড়ায় এবার ৫৭ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আলুর চাল হয়েছে। এরমধ্যে আগাম জাতের চাষ হয়েছে ২ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে।
Leave a reply