সিগারেটের আগুন থেকেই লঞ্চে আগুনের সূত্রপাত?

|

ছবি: সংগৃহীত

মধ্যরাতে বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ এ আগুন লেগে পুড়ে গেছে সম্পূর্ণ লঞ্চ, নিহত হয়েছে কমপক্ষে ৮ জন, আহত অন্তত ৭০ জন। এখনও চলছে উদ্ধার অভিযান। ধারণা করা হচ্ছে, বাড়তে পারে নিহতের সংখ্যা।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার ৮ নং গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের গাবখান চ্যানেলের আশেপাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঠিক কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা নিশ্চিত না হওয়া গেলেও ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে সিগারেট বা বিড়ির আগুন থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে।

বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আহতরা জানান, গভীর রাতে হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। সাথে সাথেই লঞ্চের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে অন্ধকারে আগুনের শিখা ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছিলো না। কিছুক্ষণ পরই লঞ্চে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া শুরু হল। শরীরের যে অংশ লঞ্চে স্পর্শ করেছিলো সেই অংশই দগ্ধ হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় প্রাণ বাঁচাতে অন্ধকারেই নদীতে ঝাপ দিতে হয়েছে। লঞ্চেও অনেকে আটকা পড়ে যায়।

আগুনের কারণ হিসেবে তারা বলছে, শীতের রাতে ইঞ্জিনরুমে যে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় তা সম্ভবত বিড়ি বা সিগারেটের আগুন থেকেই লেগেছে। কারো ছুড়ে ফেলা সিগারেটের শেষ অংশ থেকেই এমনটা হতে পারে বলে ভুক্তভোগীরা ধারণা করছেন।

লঞ্চের যাত্রী সূত্রে জানা যায়, আগুন লাগার পর অনেক যাত্রী প্রাণ বাঁচাতে লঞ্চ থেকে লাফিয়ে পড়েছেন। এতে হতাহতের সংখ্যা বাড়বে বলে ধারণা করছেন লঞ্চে থাকা যাত্রীরা। তবে প্রাথমিকভাবে সঠিক কয়টি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি।

আরেকজন যাত্রী জানান, লঞ্চটি ঝালকাঠি টার্মিনালের কাছাকাছি পৌঁছালে ইঞ্জিনরুমে আগুন লেগে যায়। সেই আগুন মুহূর্তেই পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে যায়। তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরাও নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরে তীরে উঠেছেন বলেও জানান তিনি।

স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৬৩ জন দগ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার খবর পাওয়া গেছে। লঞ্চটি বর্তমানে দেউরি গ্রামের বিষখালী নদীর তীরে আছে। সেখানে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট ও পুলিশ। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply