ক্রিসমাস ডে’তে মিয়ানমারে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে নারী–শিশুসহ ৩০ জনের বেশি মানুষকে। গতকাল শুক্রবার দেশটির কায়া প্রদেশে সেনা ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় এ ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্সের।
মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী বেসামরিক মিলিশিয়াদের সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন কারেনি ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) হাপ্রুসো শহরের মোসো গ্রামের কাছে মিলেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে নিহত বৃদ্ধ, নারী, শিশুসহ অন্তত ৩০ জনের পোড়া মৃতদেহ। সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, নিহতদের সকলেই ছিলেন সংঘাত থেকে রক্ষা পেতে আশ্রয় নেয়া বেসামরিক নাগরিক।
এদিকে, দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সেনাবাহিনীর বরাতে রয়টার্সকে জানিয়েছে, ওই গ্রামে বিরোধী সশস্ত্র বাহিনীর কয়েকজন ‘অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী’কে হত্যা করেছে সেনাবাহিনী। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অস্ত্রধারীরা সাতটি গাড়িতে অবস্থান করছিল, সামরিক বাহিনীর নির্দেশের পরও তারা না থামায় গুলি চালায় সেনাবাহিনী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সের একজন কমান্ডার জানিয়েছেন, সবগুলো মৃতদেহই ছিলো শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের। এ হত্যাকাণ্ড আমাদেরকে হতবাক করেছে। স্থানীয় এক গ্রামবাসী জানান, শুক্রবার রাতে আগুন জ্বলতে দেখেছি কিন্তু সেখানে গোলাগুলি চলছিল তাই ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি। আজ সকালে সেখানে পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ, শিশু ও নারীদের কাপড় দেখেছি।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত এবং সু চিকে কারাবন্দী করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই দেশটিতে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জবাবে গ্রেফতার ও গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।
/এসএইচ
Leave a reply