ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের ১৫-১৬ সেশনের ছাত্রী মেঘলা চৌধুরী ইলমাকে হত্যার অভিযোগের মামলায় স্বামী ইফতেখার আবেদীনকে রিমান্ড শেষে কারাগরে পাঠানো হয়েছে। এ মামলায় ইফতেখারকে তিন দফায় সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ডিসেম্বর মেঘলার মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে স্বামীর বিরুদ্ধে, পিটিয়ে মেরে ফেলার। ময়নাতদন্তে তার শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্নও পাওয়া যায়। ১৫ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন মেঘলার বাবা। এতে ইফতেখার আবেদীন ছাড়াও তার মা শিরিন আমিন ও পালক বাবা মো. আমিনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, চলতি বছরের এপ্রিলে মেঘলার সঙ্গে ইফতেখারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ইফতেখার ও তার মা-বাবা মেঘলাকে পড়ালেখা বন্ধ করে দিতে বলেন। কিন্তু পড়াশোনা বন্ধ করতে না চাওয়ায় ইফতেখার ও তার মা-বাবা মিলে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। একপর্যায়ে মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়। বিয়ের তিন মাস পর ইফতেখার কানাডায় চলে যান। এরপর ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় ফেরেন ইফতেখার। এর দুই দিন পর ১৪ ডিসেম্বর মেঘলার মায়ের মুঠোফোনে কল করে ইফতেখার বলেন, তার মেয়ে গুরুতর অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য গুলশানের একটি হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। তাদের আসতে বলেন তিনি।
মেঘলার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী মামলায় আরও অভিযোগ করেন, মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সন্দেহজনক আচরণ দেখে লাশ পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। এ সময় মেয়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমের চিহ্ন পাওয়া গেলে তিনি মামলা করেন।
তবে ইফতেখারের আইনজীবী জিল্লুর রহমান আদালতে বলেন, মেঘলার হত্যা করা হয়নি। তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
এমএন/
Leave a reply