ফ্রান্সে করোনা শনাক্তের রেকর্ড, আক্রান্ত লাখের বেশি

|

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে নতুন ত্রাস করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। যার সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দিয়েও। ইতোমধ্যে ওমিক্রন ছড়িয়েছে ১০৮টি দেশে, তার মাঝে সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। এরমধ্যে ফ্রান্সে একদিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের নতুন রেকর্ড হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে ১ লাখ ৪ হাজার ৬১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে; যা মহামারিকালে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে টানা তৃতীয়দিনের মতো দৈনিক সংক্রমণের সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে দেশটি। খবর আল জাজিরার।

ফ্রান্সের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলি বলছে, করোনার প্রথম ধাক্কার সময়ও পরিস্থিতি এতটা বিপদজনক ছিল না। যদিও ফ্রান্সের মোট জনসংখ্যার ৭৬.৫ শতাংশ পুরোপুরি ভ্যাকসিনেটেড। অর্থাৎ টিকার দু’টি ডোজই পেয়েছে। তা সত্ত্বেও নতুন করে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। বাধ্য হয়ে ফ্রান্স সরকার বুস্টার ডোজ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ফ্রান্সের সরকার জানায়, বুস্টার ডোজ নিলে বিশেষ ‘হেলথ পাস’ দেয়া হবে নাগরিকদের। সেই হেলথ পাস ছাড়া তারা বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না। ফ্রান্সের অনেক প্রান্তেই এখন লকডাউনের মতো বিধিনিষেধ চালু হয়েছে। গত মাসের শেষের দিকে সেভোয় এলাকার কর্তৃপক্ষ স্থানীয় মানুষের জন্য আবারও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে। জনাকীর্ণ কক্ষের ভেতরে কিংবা বাইরে সব জায়গাতেই মাস্ক পরতে হবে স্থানীয়দের।

উল্লেখ্য, গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় খোঁজ মিলেছিলো করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের। তারপর এই ওমিক্রন বিশ্বব্যাপী ‘ভাইরাল’ হতে বেশি সময় নেয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, মাত্র একমাসেই ১০৮টি দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন দেড় লক্ষের বেশি মানুষ। এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply