নির্বাচনে হেরেছেন রাব্বানীর মামা

|

গোলাম রাব্বানী তার মামার জন্য নির্বাচনী প্রচারণার কাজে এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে এক সংঘর্ষে তার তিনটি আঙুল কেটে যায়।

স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর:

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে হারলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর মামা সালাহ উদ্দিন আহমেদ। মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়েছেন তিনি। সেখানে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ মোল্লা।

চতুর্থ ধাপে ২৬ ডিসেম্বর জেলার রাজৈর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রাত আনুমানিক ১০টার দিকে রাজৈর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাননী খান নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। ফলাফল অনুযায়ী, ইশিবপুর ইউনিয়নে মোশারফ মোল্লা ৩ হাজার ২ শ ৬২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আর গোলাম রাব্বানীর মামা সালাউদ্দিন পেয়েছেন ২ হাজার ৫শ ৫ ভোট।

প্রসঙ্গত ভোটের দিন একটি কেন্দ্রে গেলে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তখন থেকেই এই নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলছে। মূলত গোলাম রাব্বানী তার মামার জন্য নির্বাচনী প্রচারণার কাজে এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে বর্তমান বিজয়ী প্রার্থী মোশারফ মোল্লার ছেলে সোহেল মোল্লার সাথে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ রয়েছে। ছুরির আঘাতে ডান হাতের তিনটি আঙুল কেটে যায়

এ বিষয়ে গোলাম রাব্বানী বলেন, প্রকাশ্যে ভোট দেয়ার অভিযোগে ওই কেন্দ্রের বাহিরে গেলে মোশারফ মোল্লার নির্দেশে তার ছেলে সোহেল মোল্লা আমার উপর হামলা চালায়। এতে আমার কয়েকটি আঙুল কেটে গেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। ভোটের ফলাফল নিয়ে বলেন, নির্বাচনে হার-জিত থাকতেই পারে। এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।

এদিকে বিজয়ের পর মোশারফ মোল্লা বলেন, গোলাম রাব্বানী তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করতে গিয়েছিল। পরে সেখানকার উত্তেজিত জনতা তাদের ধাওয়া দেয়। সেখান থেকে তারা একটি ঘরে আশ্রয় নিলে আমি ও আমার ছেলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করি। আর জনগণ যে আমার সাথে আছে, এ বিজয়ই তার প্রমাণ।

গোলাম রাব্বানীর ওপর হামলার বিষয়ে রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ সাদী বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply