পরীক্ষা দিয়ে লঞ্চ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন রুনা, আট মাস পর এলো ফলাফল

|

মাস্টার্সে পেলেন ফার্স্ট ক্লাস। কিন্তু নিজের এই ভালো ফল দেখে যেতে পারলেন না রুনা লায়লা। মুন্সিগঞ্জে কার্গোর ধাক্কায় আট মাস আগে লঞ্চডুবিতে মারা যান তিনি। মেয়ের ভালো ফলাফল পরিবারে বাড়িয়েছে আরও আক্ষেপ। এদিকে ওই দুর্ঘটনায় লঞ্চকে ধাক্কা দেয়া কার্গোর তিন কর্মচারীকে আসামি করা হলেও ধরাছোয়ার বাইরে থেকে গেছে মালিকপক্ষ।

রুনা লায়লার ইচ্ছা ছিল লেখাপড়া শেষ করে পরিবারের দায়িত্ব নেয়ার। বাবা-মারও ছিল আকাশচুম্বি স্বপ্ন। কিন্তু সবই এখন অতীতের গল্প। নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চ ডুবে মারা যায় রুনা। দুর্ঘটনায় মারা যাবার কিছুদিন আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মাস্টার্স পরীক্ষায় অংশ নেয় রুনা। আট মাস পর বেরোলো ফলাফল। প্রথম শ্রেণি পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি।

ভালো ফলাফলের খবর এলেও বাড়িতে নেই আনন্দের লেশমাত্র। বাবা-মা ডুকরে কাঁদছেন রুনার স্মৃতি মনে করে।

একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে গিয়েছিল রুনাদের মতো প্রায় শ খানেক যাত্রীকে বহনকারী লঞ্চটি। সম্প্রতি ওই মামলার চার্জশিট দিয়েছে নৌপুলিশ। এতে কার্গোর মাস্টার, সুকানি আর ইঞ্জিন ড্রাইভারকে অভিযুক্ত করা হলেও নাম আসেনি মালিকপক্ষের কারও।

এ বছরের ৪ এপ্রিল শীতলক্ষ্যায় জাহাজ এসকেএল-৩ এর ধাক্কায় ডুবে যায় মুন্সিগঞ্জগামী ছোট লঞ্চ সাবিত আল হাসান। মারা যান ৩৫ যাত্রী। ঘটনার পর ১৪ কর্মচারীসহ কার্গোটিকে আটক করা হয়। পরে জামিনে মুক্তি পান কর্মচারীরা। আর প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা বন্ডে জাহাজটি দেয়া হয় মালিকের জিম্মায়।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply