নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে স্থবির হতে পারে অর্থনীতি

|

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন। যদি মহামারি আকারে সংক্রমণ বাড়ে তবে স্থবির হতে পারে অর্থনৈতিক কার্যক্রম, কমে যেতে পারে বিনিয়োগ, বাড়তে পারে মূল্যস্ফীতি। আর কর্মসংস্থান কমার ফলে বাড়তে পারে দারিদ্র্য। বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় আগে থেকেই পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি।

দেশে করোনা সংক্রমণ যখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছিল, তখনও উৎপাদন ধরে রাখে তৈরি পোশাক খাত। চাহিদা কমলেও বিশ্ব বাজারে টিকে থাকতেই তারা এমন উদ্যোগ নিয়েছিল। অবশ্য সংকটকালীন ওই সময়ে বন্ধ হয়ে যায় অনেক গার্মেন্টস কারখানা। তখন অনেক শ্রমিকই বেকার হয়ে পড়েন।
তবে অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর মনে করছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার পর আবারও ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে রফতানি খাত। তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে পোশাক রফতানি বেড়েছে ২২ ভাগ। কিন্তু আবারও যদি সংক্রমণ বাড়লে রফতানি খাত নতুন করে সংকটে পড়বে।

করোনা নিয়ন্ত্রণের পর বাড়ছে মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি। অর্থাৎ নতুন করে তৈরি হয়েছে বিনিয়োগ সম্ভাবনা। তবে ড. আহসান মনে করছেন, আবারও আক্রান্ত বাড়লে থমকে যাবে উৎপাদন, কমে যাবে কর্মসংস্থান।

নানামুখী সংকট সামলে নতুন করে উৎপাদন শুরু করেছে সবাই। তবে নতুন করে লকডাউনের মতো অবস্থা তৈরি হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলে মন্তব্য ডিসিসিআইর সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদের।

তবে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট এলেও ঠিক কতোটা সক্রিয় হবে তা নিয়ে বাড়ছে সন্দেহ।

এদিকে বিশ্ব বাজারে দাম কমতে থাকলেও স্থানীয় বাজারে দাম কমেনি ভোজ্যতেলের। প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply