১৯৭৯ সালে শান্তিতে নোবেল জয়ী মাদার তেরেসা প্রতিষ্ঠিত মিশনারিজ অফ চ্যারিটিজ নামক দাতব্য সংস্থার জন্য বিদেশি অর্থায়নের লাইসেন্স নবায়ন করা হবে না বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। দাতব্য সংস্থাটির অধীনে রয়েছে স্কুল, ক্লিনিক, পরিত্যক্ত শিশুদের জন্য আবাসন ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। এখানে কর্মরত রয়েছেন কয়েক হাজার নান। খবর বিবিসির।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিকূল অবস্থার কারণে নিবন্ধন নবায়ন না করার সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
আর, সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, তাদের লাইসেন্স নবায়নের আবেদন সরকার খারিজ করে দিয়েছে। তাই বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা বিদেশি অর্থায়নসংক্রান্ত কোনো অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করবে না। ক্ষমতাসীন মোদি সরকার সম্প্রতি ভারতভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ও অন্যান্য বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) জন্য বিদেশি তহবিল সংকুচিত করার চেষ্টা করে আসছে। গত বছর বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে গ্রিনপিস ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো জব্দ করা হয়েছিল।
কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা দীর্ঘদিন ধরে সংস্থাটির বিরুদ্ধে লোকজনকে খ্রিষ্টধর্মে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ করে আসছিল। তবে সংস্থাটি এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
উল্লেখ্য, জন্মস্থান মেসেডোনিয়া থেকে ভারতে আসা রোমান ক্যাথলিক মাদার তেরেসা ১৯৫০ সালে কলকাতায় মিশনারিজ অফ চ্যারিটিজ প্রতিষ্ঠা করেন। বিশ্বে ক্যাথলিক দাতা সংস্থাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুপরিচিতগুলোর একটি মিশনারিজ অফ চ্যারিটিজ। এ সংস্থায় ও এর বাইরে বিভিন্ন মানবিক কাজের জন্য ১৯৭৯ সালে মাদার তেরেসা ভূষিত হন নোবেল শান্তি পুরস্কারে। তার মৃত্যুর ১৯ বছর পর ২০১৬ সালে পোপ ফ্রান্সিস মাদার তেরেসাকে একজন সেইন্ট (সাধু) বলে ঘোষণা করেন।
/এসএইচ
Leave a reply