দারিদ্র্য সইতে না পেরে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

|

প্রতীকী ছবি।

ভারতের বাঁশদ্রোণীতে পেটে ছুরি ঢুকিয়ে আত্মহত্যা করেছে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। পারিবারিক বিবাদের জেরে হতাশা ও বিরক্তিতে আত্মহত্যা করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম জিনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, লকডাউনে কাজ হারান আত্মঘাতী ছাত্রের বাবা সুশোভন দেবনাথ। আয়ার কাজ করে কোনোক্রমে সংসার চালাচ্ছিলেন মা। চরম অনটনের ফলেই পরিবারে লেগে থাকতো নিত্য অশান্তি। এরই প্রভাব পরে ওই ছাত্র রবীন দেবনাথের উপরে।

এই সমস্যার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয় রবীনের পড়াশুনা। বারবার পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয় রবীন। এরপরেই স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে। চরম মানসিক অবসাদ এবং হতাশার মাঝেই প্রাইভেটে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করার চেষ্টা করছিল ২৩ বছরের ওই শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেয়ায় গাড়িতেই সন্তান প্রসব নারীর

এর মাঝেই মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে আর্থিক সমস্যা নিয়ে বাবা এবং মায়ের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। এই অবস্থায় নিজের মানসিক স্থিতি ঠিক রাখতে না পেরে, রাতে রান্নাঘরের সবজি কাটার ছুরি দিয়ে নিজের পেটে উপর্যুপরি আঘাত করে রবীন।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় এস এস কে এম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান চূড়ান্ত হতাশা থেকেই এই কাজ করেছে ওই তরুন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply