শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০ পেলেন ডা. সালেহ উদ্দিন মাহমুদ তুষার। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ‘ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০’- এর অধীনে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর নামে ‘শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ শীর্ষক প্রতিযোগিতায় এ পুরস্কার পান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাকজমকপূর্ণ আয়োজনে এই পুরষ্কার গ্রহণ করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গভবন থেকে তরুণদের উদ্দেশে ওই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি ভাষণ দান করেন। বিশ্বব্যাপী যুব সমাজকে একত্রিত করার অন্যতম বৃহৎ এই প্লাটফর্মের বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের জমকালো সমাপনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, তরুণরাই আমাদের সাম্প্রতিক উন্নয়নের সম্মুখ সারির লড়াকু শক্তি। এটি আমাদের আশাবাদী ও আত্মবিশ্বাসী করে যে, এই তরুণরাই একটি উন্নত ভবিষ্যৎ নিয়ে আসবে।
পুরস্কার বিতরণীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, এমপি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, এমপিসহ উপস্থিত ছিলেন রুশ ফেডারেশনের তাতারস্তান প্রজাতন্ত্রের যুব বিষয়ক মন্ত্রী তিমুর সুলেইমানোভ, আইসিওয়াইএফ সভাপতি তাহা আয়হান এবং যুবক ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার হোসেন।
গত জুনে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেছিলেন, চলমান করোনা সংকট মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি আমাদের বাংলাদেশ ও বিশ্বের যুবারা আর্তমানবতার সেবায় যে অবদান রেখেছেন, তার স্বীকৃতি দিতে এমন উদ্যোগ নেয়া, যার মাধ্যমে তরুণদের ১০টি ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে একক ও দলীয়ভাবে মোট ১০০ জনকে পুরস্কার ও সম্মাননার এ আয়োজন করা হয়।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে এ পর্যন্ত তিনি ২ হাজার ৬০০ করোনা আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন। মহামারি শুরুর পর কার্যকর টেলিমেডিসিন সেবা দিয়ে রোগীকে সুস্থ হওয়ার আশা দেখিয়েছেন। এমনকি করোনা রোগীদের চিকিৎসায় গড়ে তুলেছেন প্লাজমা ব্যাংক। হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেই থেমে থাকেননি। ফোন পেয়ে গভীর রাতেও ছুটে গিয়েছেন রোগীর কাছে। এছাড়া বিপদে পড়া রোগীর জন্য অক্সিজেন সরবরাহ করেছেন।
Leave a reply