চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাঙামাটিতে ভরাডুবি দেখলো আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। ১০টি ইউনিয়নের মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী। বাকি সবকটিতে আঞ্চলিক দল সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয়ে বিব্রত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
গত ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর ও সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ৮টি আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী দিলেও, নানিয়াচরের সাবেক্ষ্যং ও ঘিলাছড়িতে কেউ প্রার্থী হতে রাজি হননি। ফলাফলে দেখা যায়, চেয়ারম্যান পদে রাঙামাটি সদর উপজেলার বালুখালী ইউনিয়ন ছাড়া বাকি সব ইউনিয়নে হেরেছেন সরকারি দলের প্রার্থী।
বালুখালী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান অমর কুমার চাকমা, সাধারণ মানুষ উন্নয়ন চায় বলেই তারা আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছে। এ বিজয় আমার ব্যক্তিগত না, এটা সকলের বিজয়।
সরকারি দলের ভরাডুবি এলাকায় ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে। এ নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা মুখ খুলতে নারাজ। তবে আঞ্চলিক দলগুলোর সশস্ত্র তৎপরতাকে দুষছেন পরাজিত প্রার্থীরা। এমন ভরাডুবিতে বিস্মিত দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরাও।
স্থানীয়রা জানান, চাপের কারণে তারা নৌকাকে ভোট দিতে পারেননি। এছাড়াও জানান, স্থানীয় দলগুলোর কাছে আওয়ামী লীগ বা অন্য কোনো দল প্রধান না। তাদের কাছে নিজেদের পছন্দই সত্য এবং তাদের পছন্দের প্রার্থীরাই বিজয়ী হয়।
এদিকে, অনিয়ম নিয়ে কোন প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেনি বলে জানান এই কর্মকর্তা।
রাঙামাটির সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুর রহমান বলেন, এখানে আঞ্চলিক দলের প্রভাব আছে বলে মনে করি না। শান্তিপূর্ণভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাঙামাটিতে ৫০টি ইউনিয়নের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৮টিতে ভোট হয়েছে। জিতেছেন আওয়ামী লীগের ১৩ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ১৫ জন।
Leave a reply