দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আত্মসমর্পণ করছে সুন্দরবনের আরও ৩টি দস্যু বাহিনী। এরই মধ্যে র্যাবের হেফাজতে এসেছে বাহিনীর সদস্যরা। বরাবরের মতো আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ার মধ্যস্থতায় যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মোহসীন-উল হাকিম।
রোববার দুপুরে অস্ত্র-গুলিসহ আত্মসমর্পণ করবে ‘ছোট সুমন’, ‘ডন ‘ ও ‘ছোট জাহাঙ্গীর’ বাহিনীর ২৭ সদস্য। দুপুরে বাগেরহাটের স্বাধীনতা উদ্যানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমপর্ণ করবে এই তিন দস্যু বাহিনীর সদস্যরা। এ নিয়ে সুন্দরবনের ২০টি দস্যু বাহিনী আত্মসমর্পণ করছে।
২০১৬ সালে এই আত্মসমপর্ণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। সুন্দরবনের বেশিরভাগ দস্যু বাহিনী আত্মসমর্পণ করে সরকারের কাছে তাদের অস্ত্র জমা দিয়েছে। এতে আগের চেয়ে নিরাপদ হয়েছে সুন্দরবন।
র্যাবের হেফজাতে নেয়ার সময় ছোট জাহাঙ্গীর বাহিনীর প্রধান ছোট জাহাঙ্গীর বলেন, সুস্থ ও সাধারণ জীবনে ফিরে যেতে চাই। এইভাবে দস্যুতা করতে চাইনা। আমরা আগে যেভাবে সুন্দর-স্বাভাবিক জীবনে ছিলাম সেভাবে ফিরে যেতে চাই।
আত্মসমর্পণের প্রভাব কেমন এমন প্রশ্নে র্যাব-৮ এর মেজর সোহেল রানা বলেন, ‘বর্তমানে আমরা জেলে ও স্থানীয় মানুষজনের কাছে জানতে পেরেছি এখানে যে দস্যুদের উৎপাত ছিলো তা অনেক কমে গিয়েছে। আশা করছি আমরা সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে পারবো।’
এর আগেও যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মোহসীন-উল হাকিমের সহযোগিতায় ১৭টি বনদস্যু বাহিনীর ১৯০ জন বনদস্যু দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে র্যাবের হাতে ১৬ হাজার ৮৫৫টি গুলি জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে।
Leave a reply