টিকা নিয়ে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানেই বাংলাদেশ। শহরাঞ্চলসহ গ্রাম পর্যায়েও পৌঁছে গেছে টিকা কার্যক্রম। প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকা বাসিন্দারাও এসেছে করোনা টিকার আওতায়। শুরু হয়েছে বুস্টার ডোজ দেয়ার কার্যক্রমও। নতুন বছরে এ কার্যক্রম আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছেন টিকা প্রত্যাশীরা।
দেশের প্রথম শতভাগ করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণকারী উপজেলা হলো ফকিরহাট। উপজেলার ভ্যাকসিনের জন্য নির্ধারিত বয়সের ১ লাখ ২৬ হাজার অধিবাসীদের মধ্যে প্রায় সবাই পেয়েছেন ভ্যাকসিন। এছাড়া প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রচারেও বেড়েছে সচেতনতা।
উত্তরের আরেকটি গ্রাম নাটোরের শিবপুর। করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার শুরুর দিকে নানা অপপ্রচার ছিল এই গ্রামেও। কিন্তু সময় যত গেছে, আগ্রহ বেড়েছে মানুষের মধ্যেও। এখন গ্রামের অনেকেই দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়ে নিজেকে করেছেন সুরক্ষিত।
সমতলের পাশাপাশি টিকা পৌঁছেছে দুর্গম পাহাড়েও। রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ির বড়থলি-জুড়াছড়ির মতো এলাকার অনেকেই পেয়েছেন বহু কাঙ্ক্ষিত ভ্যাকসিন। সেনাবাহিনীর উদ্যোগে সুরক্ষিত করা হয়েছে পাহাড়ের বড় অংশের জনগোষ্ঠীকে।
স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া শুরু সময়োপযোগী পদক্ষেপ। সাথে ইউনিয়ন পর্যায়ে এ কার্যক্রম চালুর ফলও মিলেছে। করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবেলায় এবার জোর দিতে হবে বুস্টার ডোজের ওপর।
ইউনিসেফের তথ্য বলছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-অনুমোদিত বিভিন্ন সূত্র থেকে ১০ কোটিরও বেশি টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। যেভাবে সরবরাহ হচ্ছে, তাতে ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে দেশের অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষকে আনা যাবে কোভিড টিকার আওতায়। বিদায়ী বছরের ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২৮.৪৪ শতাংশ মানুষ পেয়েছেন দুই ডোজ টিকা।
এসজেড/
Leave a reply