পাবনা প্রতিনিধি
পাবনার ঈশ্বরদীতে পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সদরুল আলম পিন্টুকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বত্তরা। সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
পুলিশ জানায়, রোববার সন্ধ্যায় পাকশীর রুপপুর মোড়ে এক ওষুধের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন সদরুল আলম পিন্টু। এসময় ৭ থেকে ৮ জনের একদল সন্ত্রাসী প্রথমে তাকে গুলি করে। পরে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে মারা যায় সদরুল আলম পিন্টু।
হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন পিন্টু সমর্থিত আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাকর্মীরা। তারা সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে দাশুড়িয়া-লালন শাহ সেতু মহাসড়কের রুপপুর মোড়ে অবরোধ করে। এ সময় মহাসড়কের দুই পাশে বাস-ট্রাকসহ কয়েকশ’ যানবাহন আটকা পড়ে। পরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পিন্টু হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে সকাল দশটার দিকে অবরোধ তুলে নেয় নেতাকর্মীরা।
পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকান্ড বলে ধারণা পুলিশের। স্থানীয় একাধিক সুত্র ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী জানান, ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের বিভক্ত রাজনীতির বলী হলেন সদরুল আলম পিন্টু। তিনি ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদের সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এছাড়া পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
Leave a reply