গত এক মাসে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দর। থার্টি ফার্স্ট উদযাপন ও সামাজিক আয়োজনের বাড়তি চাপ এখনো সামাল দিতে পারেননি খামারিরা। প্রভাব পড়েছে সোনালী ও লেয়ার জাতের দরেও। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সুযোগ বুঝে বড় ও ছোট বাচ্চার দামে আলাদা মানদণ্ড ঠিক করছে উৎপাদকরা।
অন্যদিকে, শীতে মুরগি পালনের খরচ বেশি বলে দাবি খামারিদের। সবজির রসনাবিলাসের চাপে, শীতে বরাবরই খেই হারায় মাংসের বাজার। তাই বছরের এই সময়ে মুরগির দাম কমে, খুব একটা চাহিদাও থাকে না। তবে এবারের চিত্র আলাদা।
আমিষের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে এখন মুরগিতেই বেশি নির্ভর নাগরিক। অথচ গত কয়েক মাস ধরে যোগান কমছে। ১৮০ টাকার নিচে নামছে না ব্রয়লারের দাম। ২৬০ টাকার আশপাশে মিলছে সোনালী জাত, লেয়ারের কেজি ২০০ টাকা। ব্যবসায়ীদের যুক্তি, থার্টি ফার্স্ট নাইট ও অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানের চাপ এখন অনেক। এই সুযোগে বড় ও ছোট মুরগির আলাদা দাম ঠিক করছেন পাইকাররা। তবে ডিমের বাজার স্থিতিশীল।
উত্তরের পাইকারি বাজারে অবশ্য দাম কিছুটা কমেছে। এখানে গড়ে দেড়শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার। লেয়ারের কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। আগের চেয়ে কমেছে হ্যাচিং ডিমের দরও। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতের রোগবালাই নিয়ে এখনো শঙ্কা কাটেনি। আর ফিডের দাম নিয়ে বিপত্তি তো আছেই।
খামারিদের দাবি, এমনিতেই বাচ্চার দাম ও ফিডের দর বাড়তি। ঘরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে শীতে বিদ্যুতের খরচ আরও বাড়ে। তার ওপর বাজার ধরতে নানামুখী চাপ দিচ্ছে বড় কোম্পানিগুলো। খামারিরা বলছেন, শীতের দাপট কমলে মুরগির যোগান আবার বাড়বে।
এসজেড/
Leave a reply