কাপড়ের মাস্কে করোনা সংক্রমিত হতে পারেন ২০ মিনিটেই: গবেষণা

|

ছবি: সংগৃহীত।

করোনা মহামারির শুরু থেকেই যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে তা হলো, কোন মাস্ক সবচেয়ে সুরক্ষিত? এর উত্তর প্রথম দিকেই দিয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক দেখালেন কোন মাস্ক করোনা থেকে আপনাকে কতক্ষণ রক্ষা করতে পারে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণা প্রথম প্রকাশ্যে আসে গত বছরের নভেম্বরে। সেখানে দেখা যায়, করোনা আটকাতে সবচেয়ে উপযোগী এন৯৫ মাস্ক। একজন কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তি যদি মাস্ক পরে না থাকেন তবে তার সামনে এন৯৫ মাস্ক একজন সুস্থ মানুষকে রক্ষা করতে পারে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। অন্যদিকে, রোগী এবং একজন সাধারণ মানুষ দু’জনেই যদি মাস্ক পরে থাকেন তবে কোভিড রোগী থেকে সুস্থ ব্যক্তির দেহে সংক্রমণ ছড়াতে সময় লাগে প্রায় ২৫ ঘণ্টা।

কিন্তু এন৯৫ মাস্ক দীর্ঘ ক্ষণ পরে থাকা কষ্টকর বলে সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা যায় সাধারণ কাপড়ের মাস্ক পরে থাকার প্রবণতা। অনেকে রং-বেরঙের কাপড়ের মাস্ক হালের ফ্যাশন হিসেবেও ব্যবহার করেন। তবে এই ব্যাপারে বারবার সতর্ক করছেন গবেষকরা।

আরও পড়ুন: ‘বম্ব সাইক্লোন’র মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র, বৈরি আবহাওয়া রাশিয়া-চীনেও

ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণা বলছে, ওমিক্রন আটকাতে কাপড়ের মাস্ক মোটেই খুব একটা কার্যকরী নয়। বড়জোর কিছু সুক্ষ্ম ধুলোর কণা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব এই মাস্কের মাধ্যমে। কোনও করোনা আক্রান্ত রোগীর সামনে যদি কাপড়ের মাস্ক পরে যাওয়া হয়, তাহলে মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই একজন সুস্থ ব্যক্তি কোভিড আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারেন। এর কারণ এই ধরনের মাস্কে কোনো ধরনের এয়ার ফিল্টার করার সক্ষমতাই নেই। তবে রোগী এবং সুস্থ ব্যক্তি দুজনেই যদি এই মাস্ক পরে থাকেন তবে সংক্রমণ ছড়াতে সময় নেয় মাত্র ২৭ মিনিট।

এ ক্ষেত্রে সার্জিকাল মাস্ক অনেক বেশি কার্যকর বলে জানা গেছে গবেষণায়। একটি সার্জিকাল মাস্ক সংক্রমণ থেকে একজন সুস্থ ব্যক্তিকে রক্ষা করতে পারে প্রায় ৩০ মিনিট। তবে সবচেয়ে সুরক্ষিত উপায় হচ্ছে সার্জিকাল মাস্কের ওপর একটি কাপড়ের মাস্ক পরা। সুতরাং ফ্যাশন সচেতন হলেও সার্জিকাল মাস্ক বা এন৯৫ মাস্ক ব্যবহার করলেই করোনার থেকে সুরক্ষিত থাকা যাবে সবচেয়ে বেশি।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply