জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দলকে রাখাইন প্রদেশে পরিদর্শনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে মিয়ানমার। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ‘জাতিগত’ নিধন চালানোর সাত মাসেরও বেশি সময় পর দেশটি এই বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপি-এর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের ওই এলাকা পরিদর্শনের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি পরিস্কার করেনি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ।
গত আগস্টে দেশটির সামরিক বাহিনীর পরিচালিত ঘর-বাড়ি জ্বালানো, হত্যা, ধর্ষণের মতো মারাত্নক অপরাধমূলক অভিযান পরিচালনার পর প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে।
এতে দক্ষিণের জেলা কক্সবাজারের বড় ধরনের মানবিক, পরিবেশ ও নিরাপত্তাগত বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপরও বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে নিরাপত্তা পরিষদ রাখাইন পরিদর্শনের বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা উত্থাপন করলে মিয়ানমার বলেছিল, এটি সঠিক সময় নয়।
কিন্তু এখন দেশটির পরিদর্শনের অনুমতি দিচ্ছে। তবে সব ধরনের নিপীড়ন ও মানবিক অপরাধের চিহ্ন মুছে ফেলার পর তারা এই অনুমতি দিচ্ছে?
স্যাটেলাইটের ছবি থেকে দেখা গিয়েছে, জ্বালিয়ে দেওয়া রোহিঙ্গা গ্রামগুলো বুলডোজার দিয়ে সমান করা হচ্ছে।
জাতিসংঘে পেরুর রাষ্ট্রদূত গুস্তাভো মেজা-কিউদ্রা ও নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সভাপতি বলেন, “পরিদর্শনের বিষয়াদি বিস্তারিত এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “অবশ্যই, আমরা রাখাইন রাজ্য পরিদর্শনের বিষয়ে আগ্রহী। সচক্ষে পরিস্থিতি দেখার চেয়ে অন্য কিছুই ভালো হতে পারে না।”
এদিকে বার্তা সংস্থা ইউনাটেডস নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি) ও এএফপি জানিয়েছে, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা বাংলাদেশের কক্সবাজারে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরও পরিদর্শন করবে।
তবে এই পরিদর্শনের বিস্তারিত সফর সূচি এখন চূড়ান্ত হয়নি বলে উভয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে।
যমুনা অনলাইন: এফএইচ
Leave a reply