ইসরায়েলের নিজস্ব ভূমির ওপর অধিকার রয়েছে, এমনটি বললেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক দ্য আটলান্টিক ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন বলে সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদন এমনটি জানিয়েছে আল জাজিরা।
সৌদি সিংহাসনের উত্তরাধিকারী সালমান বলেন, “যে কোনো জায়গায় প্রত্যেক মানুষের নিজ জাতির মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে জীবন যাপনের অধিকার রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের নিজ ভূমে বাস করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু সকলের জন্য স্থিতিশীলতা ও স্বাভাবিক সম্পর্ক নিশ্চিত করতে আমাদের শান্তির সমঝোতা করতে হবে।”
এমবিএস নামে পরিচিত এই যুবরাজ আরও বলেন, “আয়তনের তুলনায় ইসরায়েল একটি বড় অর্থনীতির দেশ, এবং অবশ্যই অনেকগুলো স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা করি।”
সৌদি আরব ও ইসরায়েলে মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।
এদিকে বিন সালমান আরও বলেন, “সৌদি আরব ইহুদি বিরোধী মতবাদে বিশ্বাসী নয়। এমনকি ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এক ইহুদি নারীকে বিয়ে করেছিলেন।”
১৯৬৭ সালে ছয় দিনব্যাপী যুদ্ধের পর স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তির ভিত্তিতে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল নির্ধারিত সীমানার বিষয়টি মেনে চলছিল রিয়াদ।
তবে সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহ থেকে বলা যায় দেশ দুইটির মধ্যে সম্পর্কের উষ্ণতা বাড়ছে।
মার্চে ভারতের দিল্লির ও ইসারায়েলের তেল আবিবের মধ্যকার সরাসরি বিমান চলাচলে নিজ আকাশ সীমা ব্যবহার করতে দিয়েছে সৌদি আরব। কয়েক দশক ধরে নিষিদ্ধ থাকার পর ইসরায়েলকে এই সুবিধা দিল রিয়াদ।
সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি আবদুল আজিজ আল শেখকে ইসরায়েল ভ্রমণের দাওয়াত দিয়েছেন দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রী আইউব কারা।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরে মোহাম্মদ বিন সালমান বেশ কয়েকটি ইহুদি গোষ্ঠী, এবং ইসরাইল লবির সাথেও সাক্ষাৎ করেছেন।
যমুনা অনলাইন: এফএইচ
Leave a reply