ইথিওপিয়ার তাইগ্রেতে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় বারের মতো বিমান হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ১৭ জন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এর আগে, গত শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) ইথিওপিয়ার এ অঞ্চলে বাস্তুচ্যুতদের একটি আশ্রয় শিবিরে বিমান হামলায় ৫৬ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হন।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) তাইগ্রের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা মাইসেবরি শহরে চালানো এ হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মাইসেবরিতে বিমান হামলার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলেও ইথিওপিয়ার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল গেটনেট আদানে এবং সরকারের মুখপাত্র লিগেসে তুলু তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
এর আগে, ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর টিপিএলএফের ২৭ বছরের আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেন আবি আহমেদ। কিন্তু তাইগ্রে অঞ্চলে প্রভাবশালী হওয়ায় এখনও প্রায়ই টিপিএলএফকে দমনের জন্য সশস্ত্র অভিযান চালায় দেশটির সেনাবাহিনী।
উল্লেখ্য, ২০২০ এর নভেম্বরে তাইগ্রেতে সরকারি বাহিনীর সাথে নতুন করে সংঘাতে জড়ায় টিপিএলএফ। এ সংঘাতের জন্য উভয়পক্ষই পরস্পরকে দায়ী করে আসছে। সম্প্রতি, বিমান হামলায় বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ব্যাপারে টেলিফোনে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
/এসএইচ
Leave a reply