জীবনবিমাই মরণফাঁদ হয়েছে আমিরের

|

ভুক্তভোগী আমিরের মা।

জীবনবিমাই যেন মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রবাসী আমির হোসেনের কাছে। একটি জীবনবিমা কোম্পানির এক কর্মকর্তার কাছে আমির টাকা জমান ১০ বছর ধরে। সে টাকার হিসাব চাইতে গেলে মারধরের শিকার হন ফেনীর এই বাসিন্দা। মামলা করলেও আইন ফাঁকি দিয়ে ওই কর্মকর্তা দিব্যি ঘুরে বেরাচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার সফরপুর গ্রামের আমির হোসেন দীর্ঘদিন বিদেশে থেকে দেশে ফেরেন ২০১১ সালে। তখন জীবনবিমা কোম্পানির কর্মকর্তা নুরুল আলম মিন্টুর প্রতারণার ফাঁদে পড়েন। আমিরকে অতিরিক্ত লাভের লোভ দেখিয়ে একটি বিমা করান। প্রতি বছর ২২ হাজার ৬০ টাকা করে কিস্তি পরিশোধ করেন ১০ বছর। স্কিম না ভেঙ্গে অতিরিক্ত লাভের প্রলোভনে ২০২১ সালে আরেকটি বিমা করান মিন্টু। কিন্তু সম্প্রতি লভ্যাংশসহ মোট টাকার হিসাব চাইতে গেলে শুরু হল টালবাহানা। হেনস্থার পর একপর্যায়ে মারধরের শিকার হতে হয় আমিরকে।

আমিরের মতো অনেকেই মিন্টুর ফাঁদে পড়েছেন। ভুক্তভোগী আরও অনেকেই জানালেন তাদের অভিযোগ।

এই ঘটনায় মামলা হলেও গ্রেফতারের পরদিনই জামিনে বেরিয়ে যায় মিন্টু। প্রবাসী আমিরের ওপর হামলাসহ নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে দায়সারা জবাব দিলেন প্রতিষ্ঠানটির ডাকবাংলা শাখার ক্যাশ অফিসার মাইন উদ্দিনও। তিনি বললেন, দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল তাদের অফিস। এর মধ্যে কী ঘটেছে কিছুই জানা নেই তার।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply