ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা ও প্রাণহানির দায় আসলে কার? নির্বাচন কমিশন দায় চাপাচ্ছে প্রার্থীদের ওপর আর প্রার্থীরা দোষ নিজেদের ওপর নিতে নারাজ। নির্বাচনী ব্যবস্থাসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। ভোটের এমন পরিবেশে উদ্বিগ্ন ভোটাররাও।
ভোট কি এখন আসলেই উৎসব? নাকি উদ্বেগ-শঙ্কার। এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৫ ধাপের ইউপি নির্বাচনের সবগুলোতেই দেখা গেছে এমন সহিংসতা। দীর্ঘ হয়েছে মৃত্যুর মিছিল। গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, প্রাণহানি শতাধিক ছাড়িয়েছে।
এসবের দায় নিতে নারাজ নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে অংশ নেয়া রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ওপর দোষ চাপিয়েছেন সিইসি। প্রার্থীদের কাছে প্রশ্ন ছিল, আসলেই কি তাই?
সহিংসতার দায় নির্বাচন কমিশন কোনোভাবেই এড়াতে পারে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরাও। স্থানীয় সরকার বিশ্লেষক সুতপা বেদজ্ঞ বলছেন, নির্বাচনী ব্যবস্থাই প্রশ্নবিদ্ধ। প্রতিটি ভোটে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী দলেরই মানুষ। এছাড়া মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ তো আছেই।
ভোটের মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা কম নয়। তবে তা মানতে নারাজ নরসিংদী সিনিয়র জেলা নির্বাচর্ন কর্মকর্তা মেছবাহ উদ্দীন।
৩১ জানুয়ারি ষষ্ঠ ধাপের নির্বাচন। ভোটের পরিবেশে উদ্বিগ্ন সাধারণ ভোটাররা। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৬৭২টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নিহত হয়েছে ১১৩ জন। আহতের সংখ্যা ৭ হাজারের বেশি।
/এডেব্লিউ
Leave a reply