প্রথমবারের মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ইন্ট্রা ভাস্কুলার লিথোট্রিপসি আইভিএল ব্যবহার করে করোনারি এঞ্জিওপ্লাস্ট বা হার্টে রিং পরানো হয়েছে বিএসএমএমইউতে। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি ইউনিটের ক্যাথ ল্যাবে জটিল এ অপারেশনের নেতৃত্ব দেন অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান।
প্রথমবারের মতো লাইভ ইন বক্স সম্প্রচারের মাধ্যমে পর পর দু’টি অপারেশন সম্পন্ন হয়। অপারেশন হওয়া একজন রোগীর বয়স ৮০ বছরের বেশি। এই প্রক্রিয়া সফল হওয়ায় খুশি সংশ্লিষ্টরা। পরবর্তীতে আরও সহজে এই অপারেশন সম্ভব হবে বলে মনে করছেন ডা. মোস্তফা জামান।
অপারেশনের নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান বলেন, মানুষের হার্টে বিভিন্ন কারণে ব্লক হতে পারে। একজন রোগী নিজেই বুঝতে পারবে যে তার হার্টে ব্লক আছে। রোগীর যদি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে কোলেস্টেরল বেশি, স্থূলতা, ধূমপানের অভ্যাস ও পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস থাকলে তাদেরই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তারা একটু পরিশ্রম বা হাঁটাহাঁটি করলেই বুকে একধরনের চাপ অনুভূত করলে আমরা সাধারণভাবে ধারণা করি তার হৃদরোগ থাকতে পারে। তখন কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত হতে পারি বিষয়টি সম্পর্কে। মূলত ইটিটি টেস্টে যদি সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আমরা ধারণা করি যে রোগীর হার্টে ব্লক আছে। পরে এনজিওগ্রামের মাধ্যমে আমরা সম্পূর্ণ নিশ্চিত হতে পারি যে হার্টের ব্লকের পরিমাণ কতটুকু আছে।
তিনি আরও বলেন, হার্টে ব্লক থাকলে আমরা তিন ধরনের চিকিৎসা দিয়ে থাকি। প্রাথমিক পর্যায়ে ওষুধ দিয়ে ব্লক সারানোর চেষ্টা করা হয় পরবর্তীতে কাজ না হলে রিং পরানো বা বাইপাস সার্জারি করা হয়। অনেকের ব্লক অনেক বেশি শক্ত হয়ে যাওয়ায় রিং পরানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। নতুন এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে রিং পরানো হলে পরবর্তীতে হার্টে সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়। রিংয়ের স্থায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো আইভিইউএস এর মাধ্যমে একটি জটিল অপারেশন সম্পন্ন করেন এই চিকিৎসক। আজ পর পর দু’টি অপারেশন সফল হওয়ায় দু’জন রোগীই সুস্থ রয়েছেন।
/এনএএস
Leave a reply